Advertisement
Advertisement
গোয়া

বিজেপিতে যোগ গোয়ার ১০ কংগ্রেস বিধায়কের, দিল্লিতে ধরনায় সোনিয়া-রাহুল

উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে শামিল হতেই ওই বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, দাবি গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর।

Goa Congress Rebels "Came To Us For Development": BJP

কর্ণাটক ও গোয়া ইস্যুতে সংসদের বাইরে বিক্ষোভ কংগ্রেসের

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:July 11, 2019 6:04 pm
  • Updated:July 11, 2019 7:47 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকের সমস্যা মেটার আগেই গোয়াতে দল ছাড়লেন ১০ জন কংগ্রেস বিধায়ক। বৃহস্পতিবার বিকেলে দিল্লিতে বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডার উপস্থিতিতে তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেন। যদিও ওই বিধায়কদের দলবদল রুখতে গোয়া বিধানসভার স্পিকারের দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস। দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছি। যদিও তা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের কথায়, দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুযায়ী দুই-তৃতীয়াংশ বিধায়ক দলবদল করলে শাস্তির আওতায় পড়ে না। এক্ষেত্রেও তাই ওই বিধায়কদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না।

Advertisement

[আরও পড়ুন- দূষণ কমানোর উদ্যোগ, পরিবেশবান্ধব কলম তৈরি করে চমক ২ যুবকের]

২০১৭ সালে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল গোয়াতে। ফলাফল প্রকাশ পেতে দেখা যায় সবথেকে বেশি ১৫টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু, সরকার গড়ার জন্য যথেষ্ট সংখ্যা না থাকায় ক্ষমতা দখল করতে পারেনি তারা। অন্যদিকে কম আসন পেয়েও গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি আর নির্দল বিধায়কদের সাহায্যে সরকার গঠন করে বিজেপি। বর্তমানে কংগ্রেসের ১০ জন বিধায়ক যোগ দেওয়া সেই সংখ্যা আরও বাড়ল। বৃহস্পতিবার সকালেই ওই বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের সঙ্গে দিল্লিতে আসেন।

কর্ণাটকের মতো গোয়াতেও দলত্যাগী বিধায়কদের উপর বিজেপি চাপ সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। যদিও তা অস্বীকার করেছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “উন্নয়নের স্বার্থেই প্রত্যেকটি বিধায়ক আমাদের সঙ্গে এসেছেন। তাঁদের মূল লক্ষ্য হল নিজেদের বিধানসভা ও রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়ন করা। তাঁরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিজেপিতে যোগ দিতে এসেছেন। বিজেপি সরকারকে নিঃশর্তে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা তাঁদের উপর কোনও চাপ সৃষ্টি করিনি।”

[আরও পড়ুন- দলিতকে বিয়ে, মেয়ে-জামাইকে ‘খুনের চক্রান্ত’ বিজেপি বিধায়কের]

বিজেপির তরফে এই দাবি করা হলেও তা মানতে চায়নি কংগ্রেস। এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সংসদ চত্বরে থাকা গান্ধীমূর্তির নিচে বিক্ষোভ দেখায় তারা। এই বিক্ষোভে কংগ্রেসের তাবড় তাবড় নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাহুল এবং সোনিয়া গান্ধীও। কংগ্রেসের অভিযোগ, ক্ষমতায় নেই এরকম রাজ্যে লোভ দেখিয়ে অন্য দলের বিধায়কদের দলে টানছে বিজেপি। যেনতেন প্রকারে ক্ষমতা দখল করার জন্যই এই ছক কষেছে।

অন্যদিকে, কর্ণাটকের ইস্তফা দেওয়া ১০ বিধায়ককে শুক্রবার সন্ধে ছটার মধ্যে বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গত শনিবার থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ১৬ জন বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন কর্ণাটকে। তাঁদের অভিযোগ, কংগ্রেস ও জেডি(এস)-র সরকারকে বাঁচাতে তাঁদের ইস্তফাপত্রগুলি গ্রহণ করতে চাইছেন না স্পিকার রমেশ কুমার। শনিবার থেকেই এবিষয়ে বিরূপ সুর শোনা যায় তাঁর মুখে। মঙ্গলবার বিকেলে আটজন বিধায়কের ইস্তফার আবেদন খারিজও করে দেন তিনি। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন দলত্যাগী বিধায়করা। তাঁদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর নেতৃত্বে কংগ্রেস ও জেডিএস জোট সরকার টিঁকিয়ে রাখতে যা যা করণীয় তাই করছেন স্পিকার। তাই বাধ্য হয়ে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ