ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরে চোরের উৎপাতে রীতিমতো অতিষ্ঠ ছিলেন গ্রামবাসীরা। এরইমাঝে রাত দুপুরে অদ্ভুতসব যন্ত্রপাতি-সহ গ্রামের মধ্যে গাড়ি এসে থামতেই চোর সন্দেহ মাথাচাড়া দিয়ে উঠল গোটা গ্রাম। গাড়ি ঘিরে ধরে বেধড়ক মারা হল সওয়ারিদের। তবে চোর সন্দেহে যাঁদের মারা হল বাস্তবে তাঁরা গুগল কর্মী। এসেছিলেন গুগল ম্যাপের সমীক্ষার কাজে। পরে পুলিশ এসে উদ্ধার করে তাঁদের।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে উত্তপ্রদেশের কানপুরের বিরহার গ্রামে। পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ওই গ্রামে সেখানে ম্যাপের সমীক্ষার কাজে এসেছিলেন গুগল কর্মীরা। তাঁদের গাড়ি সজ্জিত ছিল নানা ধরনের যন্ত্রপাতি, ক্যামেরা ও অন্যান্য জিনিসে। গভীর রাতে গ্রামের মধ্যে এমন আদ্ভুতুড়ে গাড়ি গ্রামের মধ্যে ঢুকতে দেখে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের। রাত পাহারায় থাকা লোকজন গাড়িটিকে ঘিরে ধরেন। এভাবে গাড়ি আটকানোয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় কর্মীদের। এরপর তাঁদের গাড়ি থেকে নামিয়ে ব্যাপক মারধোর করেন গ্রামবাসীরা। পুলিশের কাছে এই ঘটনার খবর গেলে পুলিশ এসে উদ্ধার করেন তাঁদের। বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে বেশকিছুদিন ধরে চুরি হচ্ছিল। ফলে চোর ধরতে রাত পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছিল গ্রামবাসীদের তরফে। এই পরিস্থিতিতে একাধিক ক্যামেরা, রাডার লাগানো গাড়ি গ্রামের মধ্যে ঢুকতে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের। তাঁরা ভাবেন গাড়িটি চুরির উদ্দেশে গ্রামে রেইকি করতে এসেছিল। গাড়িতে ক্যামেরা দেখে তাঁদের সন্দেহ আরও বাড়ে। ছবিও তুলছিলেন তাঁরা। যার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওনারা যদি থানাকে বিষয়টি জানিয়ে আসতেন তাহলে এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা কোনওভাবেই ঘটত না।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, বেশ কিছু দিন ধরে ওই এলাকায় চুরি হচ্ছিল। রাত পাহারার ব্যবস্থা করা হয় চোর ধরার জন্য। আর এমন একটা পরিস্থিতিতে মাঝরাতে অচেনা গাড়ি এবং তাঁর মধ্যে একদল লোককে দেখে চোর বলে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের। তার পরই তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়। ওই দলের নেতৃত্বে ছিলেন সন্দীপ। তিনি জানিয়েছেন, গ্রামবাসীরা সন্দেহজক কিছু আঁচ করে তাঁদের ঘিরে ধরেন। যদি তাঁরা নথি পরীক্ষা করে দেখতেন, বা কী করতে এসেছি সেটা জানার চেষ্টা করতেন, তা হলে এই ঘটনা ঘটত না।
এদিকে ওই দলের সঙ্গে থাকা এক গুগল কর্মী বলেন, “আমি আমার দলের সঙ্গে ওই গ্রামে ম্যাপের লোকেশন সার্ভে করতে এসেছিলাম। আমাদের কাছে সমস্তরকম নথিপত্র ছিল। কিন্তু গ্রামবাসীরা তা না দেখেই আমাদের মারধোর শুরু করে। এই সমীক্ষার জন্য ডিজিপির অনুমতিও নেওয়া ছিল আমাদের।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.