Advertisement
Advertisement
Ahmedabad Plane Crash

বিমানযাত্রীদের নিরাপত্তা: আহমেদাবাদ দুর্ঘটনার পর ফের উদ্বেগ প্রকাশ সংসদীয় কমিটির

ক্যাম্পবেলকে আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা ও ড্রিমলাইনার নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে।

Govt flags concern on airlines safety after Ahmedabad Plane Crash
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:July 10, 2025 2:13 pm
  • Updated:July 10, 2025 2:13 pm   

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে ফের সংসদীয় কমিটির প্রশ্নের মুখে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়া। বিমানযাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট পূর্বতন রিপোর্টের সুপারিশ কতটা কার্যকর হয়েছে, জানতে চেয়ে ডিজিসিএ-র ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলল কমিটি। রানওয়ে সেফটি নিয়ে কী ভাবা হচ্ছে, পাখি-পশুদের উপদ্রব আটকাতেই বা কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে-যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে ডিজিসিএ-র সামনে প্রশ্ন তুলে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সরব তৃণমূল কংগ্রেসও।

Advertisement

সদ্য মঙ্গলবারই সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির বৈঠকে আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে আলোচনার পর বুধবারও সংসদের ট্রান্সপোর্ট, ট্যুরিজম ও কালচারের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিমান নিরাপত্তা নিয়ে ম্যারাথন আলোচনা হয়েছে। সকাল দশটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছটা পর্যন্ত চলা বৈঠকে কেন্দ্রীয় আসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক, ডিজিসিএ-র প্রথম সারির কর্তা, এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও ক্যাম্পবেল উইলসন-সহ কয়েকটি বিমান সংস্থার প্রধানদের উপস্থিতিতে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কমিটির সদস্যরা।

সূত্রের খবর, সেখানেই তৃণমূল সাংসদ জুন মালিয়া দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে পশুপাখির উপদ্রব হচ্ছে যা প্রাণঘাতী হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বিমান চালকরাও বিষয়টি নিয়ে বিচলিত। রানওয়ের নিরাপত্তা নিয়ে ডিজিসিএ কী ভাবছে জানতে চান। আহমেদাবাদ-সহ ভোপাল, পুণে-র মতো বিমানবন্দরে এই সমস্যা ব্যাপক বলেও জানান জুন। সূত্রের খবর, তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে ডিজিসিএ। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, এই সমস্যা তাঁরা জানেন। সমস্যা মোকাবিলার জন্য বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগানো হচ্ছে। জুনের প্রশ্নের সূত্র ধরেই অন্য সাংসদরা দেশে যে সমস্ত গ্রিন ফিল্ড এয়ারপোর্ট তৈরি হচ্ছে, সেখানে যাতে সামনে কোনও বাড়ি না থাকে সে বিষয়ে নজর দেওয়ার কথা বলেছেন।

সূত্রের খবর, এ প্রসঙ্গে কমিটির সদস্যদের মধ্যে অনেকেই আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে সেখানে সামনের বহুতল না থাকলে বিমানটি কোনও ভাবে অবতরণ করাতে পারলে যাত্রীরা বেঁচে যেতে পারতেন বলেও আক্ষেপ করেছেন। সূত্রের খবর, বৈঠকে জুন-সহ কয়েকজন সাংসদ ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের অডিট রিপোর্টে বিমান নিরাপত্তা নিয়ে যে সমস্ত সুপারিশ ছিল, তা কতটা কার্যকর হয়েছে জানতে চান। তাতে মন্ত্রক বা ডিজিসিএ কেউই সদুত্তর দিতে পারেনি। এত দীর্ঘ বৈঠকে, এত প্রশ্নের সব উত্তর দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে পরে লিখিতভাবে জানানো হবে বলে মন্ত্রকের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার রিপোর্ট আসতে এত দেরি কেন বলেও বৈঠকে প্রশ্ন উঠেছে। তাতে মন্ত্রকের তরফে এক মাসের মধ্যে, সম্ভবত আগামী শুক্রবারের মধ্যেই প্রাথমিক রিপোর্ট সরকারের কাছে জমা দেওয়ার পাশাপাশি জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়। বিমানের দু’টি ব্ল‍্যাক বক্স ভারতেই রয়েছে এবং সেগুলির পরীক্ষা চলছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

সূত্রের খবর, এদিনও ক্যাম্পবেলকে আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা ও ড্রিমলাইনার নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। আগের বৈঠকে দেওয়া জবাবেরই পুনারাবৃত্তি করেছেন তিনিও। সঙ্গে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের বাইরে এয়ার ইন্ডিয়া একটি আলাদা পাঁচশো কোটি টাকার ট্রাস্ট গঠন করছে। সেখান থেকে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের পড়াশোনা ও চিকিৎসার মতো কাজে সহায়তা করা হবে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ