সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীত এখনও আসেনি। এর মধ্যেই ‘খারাপ’ ক্যাটাগরিতে পৌঁছেছে দিল্লির দূষণের মাত্রা। দিওয়ালির আগেই এহেন অবস্থায় শঙ্কিত পরিবেশবিদরা। এই পরিস্থিতিতে বাজি ফাটানোর সময়সীমা বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে ফাটানো যাবে কেবল সবুজ বাজি। গ্রিন ক্র্যাকার পোড়ানোর অনুমতি চেয়ে যে আর্জি জানানো হয়েছিল বুধবার তাতেই সাড়া দিল শীর্ষ আদালত।
এদিন প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চ জানিয়ে দিল, কেবল মাত্র নির্দিষ্ট অঞ্চলেই সবুজ বাজি ফাটানো যাবে। বাজি ফাটানোর সময়সীমা সকাল ৬টা থেকে ৮টা এবং সন্ধে ৮টা থেকে ১০টা। যাঁরাই এই নিয়ম লঙ্ঘন করবেন তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।
এবছরের জুলাইয়ে দিল্লি পলিউশন কন্ট্রোল কমিটি ঘোষণা করে রাজধানী এলাকার মধ্যে সমস্ত ধরনের আতশবাজি তৈরি, মজুত, বিক্রি করা ও ফাটানো নিষেধ। এর চারমাস আগেই সুপ্রিম কোর্টও আতশবাজিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। দিল্লি-এনসিআরে গ্রিন ক্র্যাকারেও জারি হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। আসলে প্রতি বছরই দিওয়ালির সময় থেকে ব্যাপক ক্ষতি হতে থাকে দিল্লির পরিবেশের। তাই এবার আগে থেকেই তা রুখতে মরিয়া প্রশাসন। যদিও ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে শীত শুরুর আগেই রাজধানী ঢেকেছে কুয়াশায়। বর্ষাকালে দূষণের মাত্রা নিচের দিকেই থাকে। এবং প্রতি বছরই তার বিদায়ের পর থেকে পরিস্থিতি বদলায়। এবছরও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই বোঝা যাচ্ছে। দিল্লি ও এনসিআরে ‘খারাপ’-এর পাশাপাশি আনন্দ বিহারে তা ‘অতি খারাপ’ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নির্দিষ্ট এলাকায় কেবল গ্রিন ক্র্যাকার ফাটানোর অনুমতি দিলেও সময়সীমা বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.