সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরের হান্দেওয়ারাতে কয়েকজন পণবন্দি কাশ্মীরিকে বাঁচাতে গিয়ে শহিদ হয়েছেন স্বামী। তবে যাওয়ার আগে লক্ষ্যও পূরণ করে গিয়েছেন। খতম করে গিয়েছেন জঙ্গি হায়দারকে। এই খবর শুনেই বলেছিলেন, ‘ওর জন্য গর্ব অনুভব করি। তাই চোখের জল ফেলব না।’ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় রাজস্থানের জয়পুরে কর্নেল আশুতোষ শর্মার শেষকৃত্যের সময় সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করতে দেখা গেল তাঁর স্ত্রী পল্লবীকে। আশপাশের সবাই যখন কাঁদছে তখন চোখ বন্ধ অবস্থায় চোয়াল শক্ত করে একমনে স্বামীকে শেষ কুর্নিশ করতে দেখা গেল বীর শহিদের স্ত্রীকে। তবে শত চেষ্টা সত্ত্বেও বন্ধ চোখের ফাঁক থেকে বেরিয়ে আসা অশ্রুর ধারাকে আর আটকে রাখতে পারেননি তিনি।
Wife, daughter and other family members of Colonel Ashutosh Sharma who lost his life in (J&K) encounter, salute him
Advertisement— ANI (@ANI)
সোমবারই রাজস্থানের জয়পুরে এসে পৌঁছেছিল ২১ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কর্নেল আশুতোষ শর্মার মরদেহ। তারপর মঙ্গলবার সকালে জয়পুর মিলিটারি স্টেশনের ৬১ ক্যাভালরি এলাকায় সামরিক মর্যাদা তাঁর নশ্বর মরদেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। দেশরক্ষার কাজে আত্মবলিদান দেওয়া এই মহান শহিদের শেষযাত্রায়, তাঁকে সম্মান জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও ভারতীয় সেনার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
সোমবার কর্নেল শর্মার মৃতদেহ যখন জয়পুরে এয়ারপোর্ট আসে তখন রাজ্যের এক মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শহিদের মা, স্ত্রী পল্লবী, মেয়ে তামান্না ও ভাই পীযূষ। সেখান থেকে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় জয়পুরের সেনা হাসপাতালে। গতকাল স্বামীর আত্মবলিদান সম্পর্কে তাঁদের পরিবার কতটা গর্ব অনুভব করে তা বলতে গিয়ে পল্লবী উল্লেখ করেছিলেন, পুরো পরিবার আশুতোষকে দেশের প্রতি আত্মত্যাগ, শৌর্য ও বীরত্বের জন্য সবসময় মনে রাখবে। বলেছিলেন, ‘আমার সঙ্গে ওর যখন শেষবার কথা হয় তখন বলেছিল, দেড় হাজার জনের দায়িত্ব আমার কাঁধে। তাঁদের রক্ষা করতে হবে। আর তুমি যে পরিবারের খেয়াল রাখতে পারবে এটা আমি ভালই জানি।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.