Advertisement
Advertisement

রাম রহিমের ডেরায় সেনা-পুলিশ, ব্যাপক তল্লাশি

পুলিশের মধ্যেই রয়েছে 'চর', বিস্ফোরক অভিযোগ স্থানীয়দের।

Haryana police conducts raid in Ram Rahim’s Sirsa den
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 8, 2017 4:34 am
  • Updated:September 8, 2017 4:34 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষক স্বঘোষিত  ধর্মগুরু রাম রহিমের প্রধান ডেরায় ব্যাপক তল্লাশি অভিযান  হরিয়ানা পুলিশের। সূত্রের খবর, শুক্রবার সিরসায় অবস্থিত ডেরার প্রধান কার্যালয়ে শুরু হয় তল্লাশি। পুলিশের ১০টি দল, ব্যাঙ্ক আধিকারিক ও পূর্তদপ্তরের আধিকারিকরা প্রধান ডেরায় ছানবিন চালায়। অন্তত ৬০টি ক্যামেরায় তল্লাশি অভিযানের ভিডিওগ্রাফি করা হয়। এই অভিযান রয়েছে পুলিশের বিশেষ সোয়াট বাহিনী। সঙ্গে রয়েছে বম্ব স্কোয়াড ও স্নিফার ডগ। এছাড়াও এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে মোতায়েন করা হয়েছে ৪১ কোম্পানি আধা সেনা ও ৪টি আর্মি কলাম। অশান্তি এড়াতে ডেরা চত্বরে জারি হয়েছে কারফিউ।

Advertisement

[রাজকীয় ডেরায় তাজমহল, আইফেল টাওয়ারও বানিয়েছিল রাম রহিম]

এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ডেরায় বেআইনি অস্ত্রশস্ত্র ও প্রচুর পরিমাণের নগদ টাকা ও সোনাদানা মজুত থাকতে পারে। উল্লেখ্য, রাম রহিমের গ্রেপ্তারির পরই ডেরার প্রধান কার্যালয়ে তল্লাশি চালানোর অনুমতি চেয়ে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। মঙ্গলবার সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। এছাড়াও, প্রাক্তন বিচারপতি কে এস পাওয়ারকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করে আদালত। তারপরই এদিন শুরু হয় অভিযান। সিরসায় ডেরার প্রধান আশ্রমেই সমস্ত কুকর্ম হত বলে অভিযোগ। এখানেই একাধিক সাধ্বী নিখোঁজ হয়েছেন। অভিযোগ, এই আশ্রমের মধ্যে ‘বাবা’র গুহায় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন একাধিক শিষ্যা। অঙ্গচ্ছেদ করা হয়েছে বহু পুরুষ শিষ্যের।

[জানেন, গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের বিপুল জনপ্রিয়তার রহস্যটা কী?]

এই অভিযানে এখনও পর্যন্ত কি পাওয়া গিয়েছে তা জানায়নি পুলিশ। তবে সর্ষের মধ্যেই কি ভূত রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়দের একাংশ। তাদের অভিযোগ, পুলিশের মধ্যেই রয়েছে ডেরার চর। তাই আগে থাকতেই পুলিশি হানার খবর পৌঁছে গিয়েছে রাম রহিমের কাছে। স্থানীয়দের মতে ইতিমধ্যে সমস্ত বেআইনি অস্ত্রশস্ত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সিরসার আশ্রম থেকে। এমনকী তল্লাশি অভিযানের আগে অনেক প্রমাণ উধাও করে দিয়েছে রাম রহিমের অনুগামীরা। আগস্ট ২৮ থেকে ৩১ তারিখের মধ্যে বেশ কয়েকটি অস্ত্রশস্ত্র বোঝাই গাড়ি আশ্রম থেকে বেরিয়ে যেতে দেখেছেন তাঁরা। ফলে এদিনের অভিযানের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement