Advertisement
Advertisement
Hathras

দুষ্কৃতীর গুলিতে প্রাণ গিয়েছে বাবার, পরিবারকে বাঁচাতে বন্দুকের লাইসেন্স চাইলেন হাথরাসের নির্যাতিতা

যোগী আদিত্যনাথের কাছে আরজি তরুণীর।

Hathras molestation victim whose father was shot dead seeks license to keep gun | Sangbad Pratidin

প্রতীকী ছবি।

Published by: Biswadip Dey
  • Posted:March 6, 2021 3:20 pm
  • Updated:March 6, 2021 3:20 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোখের সামনে নিজের বাবাকে গুলিবিদ্ধ হতে দেখেছেন। তাঁর মৃত্যুর পরে এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই খুনি। ২০১৮ সালে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল এই অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই। এবার তার হাত থেকে নিজেকে ও নিজের পরিবারকে রক্ষা করতে যোগী সরকারের কাছে বন্দুক রাখার লাইসেন্স চাইলেন হাথরাসের (Hathras) নির্যাতিতা তরুণী।

Advertisement

কয়েক দিন আগে প্রকাশ্যে নির্যাতিতার বাবাকে যেভাবে গুলি করে মেরেছিল মূল অভিযুক্ত গৌরব শর্মা তা দেখে শিউরে উঠেছিল উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। খোদ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এখনও অধরা গৌরব। আর সেই কারণেই ক্রমশ ভয় বাড়ছে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের।

[আরও পড়ুন : সুদীপ জৈনেই আস্থা, ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের অপসারণের দাবি খারিজ কমিশন]

ঠিক কী ঘটেছিল? ২০১৮ সালে ওই তরুণীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। তরুণীর বাবার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেপ্তারও করে গৌরবকে। কিন্তু মাসখানেক পরে জামিন পেয়ে যায় সে। সেই থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি। যা চরম আকার নেয় গতকাল। সোমবার বিকেলে নির্যাতিতা তরুণীর গ্রামের মন্দিরে পুজো দিতে যান অভিযুক্তের স্ত্রী ও কাকিমা। সেই সময় সেখানে আসেন নির্যাতিতা ও তাঁর বোনও। শুরু হয় ঝগড়া। পরে সেখানে আসেন তরুণীর বাবা ও গৌরব। গৌরবের সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল বলে জানা গিয়েছে। ক্রমেই পরিস্থিতি ঘোরাল হয়ে ওঠে। তারপরই আচমকা গৌরব গুলি চালিয়ে দেয়। গুরুতর আহত হন তরুণীর বাবা। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ই তাঁর মৃত্যু হয়। এমন ঘটনায় মুহূর্তে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ইতিমধ্যেই গৌরবের পরিবারের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন : ৯৮ বছরেও ‘আত্মনির্ভর’! এই বয়সেও চালান দোকান, উত্তরপ্রদেশের বৃদ্ধকে দেখে মুগ্ধ যোগী আদিত্যনাথও]

যোগী আদিত্যনাথের কাছে নির্যাতিতার আরজি, তাঁকে বন্দুর রাখার লাইসেন্স দেওয়া হোক। তাঁর কথায়, ”ঘটনার পর পাঁচ দিন কেটে গেলেও মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। আমাদের সঙ্গে যে কোনও ঘটনা ঘটে যেতে পারে। আমার একটা আগ্নেয়াস্ত্র চাই আত্মরক্ষার্থে। এই মুহূর্তে পুলিশের পাহারা আছে ঠিকই, কিন্তু কাল যখন সেটা তুলে নেওয়া হবে তখন কী হবে?” নির্যাতিতার আরও অভিযোগ, ঘটনার দিন পুলিশ আরও একটু আগে এলে তাঁর বাবাকে বাঁচানো যেত। তিনি জানিয়েছেন, গৌরব যখন তাঁর বাবাকে শাসাচ্ছিল, তখন স্থানীয় পুলিশকে ফোন করলে উলটে ১১২ নম্বরে ফোন করার পরামর্শ দেওয়া হয় তাঁকে। প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হলেও গৌরব এখনও পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ