Advertisement
Advertisement

Breaking News

Shahi Idgah

মথুরার শাহী ইদগাহকে ‘বিতর্কিত সৌধ’ বলতে নারাজ হাই কোর্ট, কৃষ্ণ জন্মভূমি মামলায় ধাক্কা হিন্দু পক্ষের

মথুরার শাহী ইদগাহ মসজিদ ঘিরে বিতর্ক দীর্ঘদিনের।

High Court rejects Hindu side's plea to declare Shahi Idgah disputed structure
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 4, 2025 3:54 pm
  • Updated:July 4, 2025 3:54 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মথুরার শাহী ইদগাহ মসজিদকে ‘বিতর্কিত সৌধ’ হিসাবে গণ্য করা হবে না। অর্থাৎ ওই সৌধটিকে আপাতত মসজিদ হিসাবেই গণ্য করা হবে। হিন্দু পক্ষের আবেদন খারিজ করে জানিয়ে দিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট।

Advertisement

মথুরার শাহী ইদগাহ মসজিদ ঘিরে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। এই সংক্রান্ত একাধিক মামলা চলছে এলাহাবাদ হাই কোর্টে। কিছুদিন আগে হিন্দু পক্ষের তরফে আবেদন করা হয়েছিল ওই মসজিদকে আর মসজিদ হিসাবে না ধরে ‘বিতর্কিত সৌধ’ হিসাবে গণ্য করা হোক। আগামী দিনে এই মামলার সমস্ত নথিতে মসজিদটিকে বিতর্কিত সৌধ হিসাবে দেখানোর দাবিতে এলাহাবাদ হাই কোর্টে মামলা করেছিল হিন্দু পক্ষ। পালটা লিখিতভাবে আপত্তি জানায় মুসলিম পক্ষ। তাদের বক্তব্য, ওই জায়গাটিতে এই মুহূর্তে মসজিদই রয়েছে। তাতে কারও সংশয় নেই। তাই কোনওভাবেই সৌধটির সরকারি স্বীকৃতিতে কোনওরকম বদল করা যাবে না।

এলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি রাম মনোহর নারায়ণ মিশ্রের বেঞ্চ ওই মামলায় হিন্দু পক্ষের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। মুসলিমদের আপত্তিকে গুরুত্ব দিয়ে ওই মসজিদকে ‘বিতর্কিত সৌধ’ হিসাবে চিহ্নিত করতে আপত্তি জানাল এলাহাবাদ হাই কোর্ট।

আসলে আধ্যাত্মিক শহর মথুরায় রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রাচীন মন্দির। হিন্দুদের বিশ্বাস, ওই জায়গাটি শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান। সেই মন্দির চত্বরেই রয়েছে শাহী ঈদগাহ মসজিদ। ইতিহাসবিদদের একাংশের দাবি, প্রাচীন কেশবনাথ মন্দির ভেঙেই মসজিদটি তৈরি করেন ঔরঙ্গজেব। ১৯৩৫ সালে ওই মন্দির চত্বরের মালিকানা মথুরার রাজার হাতে সঁপে দেয় এলাহাবাদ হাই কোর্ট। পর্যায়ক্রমে সেই সত্ব বর্তায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ঘনিষ্ঠ শ্রী কৃষ্ণভূমি ট্রাস্টের হাতে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দুই ধর্মের মানুষের মধ্যে তৈরি হয় সংঘাত। অবশেষে ১৯৬৮ সালে এক চুক্তির মাধ্যমে জমির মালিকানা হিন্দুদের হাতে থাকলেও মসজিদটির রক্ষণাবেক্ষণ করার অধিকার পায় মুসলিম পক্ষ।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement