Advertisement
Advertisement
HImanta Biswa Sharma

সিএএ-তে নাগরিকত্ব পেয়েছেন মাত্র ৩ জন! আইনের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন খোদ হিমন্ত

এ পর্যন্ত অসমে মাত্র ১২টি আবেদন জমা পড়েছে!

HImanta Biswa Sharma put CAA under question

ফাইল ছবি

Published by: Anustup Roy Barman
  • Posted:September 3, 2025 8:35 pm
  • Updated:September 3, 2025 8:35 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিএএ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সরকার। সোমবার রাতে নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সময় দশ বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর করা হয়েছে। এর মধ্যেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানালেন, এ পর্যন্ত এই আইনে মাত্র ৩ জন নাগরিকত্ব পেয়েছেন। বস্তুত আইনের প্রাসঙ্গিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। 

Advertisement

নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের অধীনে আবেদনের জন্য ভারতে প্রবেশের শেষ সময় ২০২৪ পর্যন্ত বৃদ্ধি করার ঘোষণা হওয়ার একদিন পরেই হিমন্ত জানিয়েছেন, সিএএ-তে অসমে এখনও পর্যন্ত মাত্র তিনজন বিদেশী নাগরিকত্ব পেয়েছেন। পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে আসা অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতেই আনা হয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। নতুন নির্দেশের আগে এই আইনে ভারতে প্রবেশের জন্য শেষ তারিখ ছিল ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪।

সিএএ প্রশ্নে শেষ তারিখ বাড়ানো অসমের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই রাজ্যের মানুষের মধ্যে সবসময়ই আশঙ্কা ছিল যে বহু বিদেশি নাগরিক এই আইনের জোড়ে ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। নতুন সিদ্ধান্তে এই আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়। যদিও এই আশঙ্কার আগুনে জল ঢেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। বিশ্ব শর্মা মঙ্গলবার জানিয়েছেন, “এখনও পর্যন্ত, অসমে সিএএ-এর অধীনে মাত্র তিনজন নাগরিকত্ব পেয়েছেন।” এই আইন ঘিরে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, তাকে গুরুত্ব না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অসমে ২০-২৫ লক্ষ মানুষ নাগরিকত্ব পাবে বলে ব্যাপক হৈচৈ হয়েছিল। কিন্তু মাত্র ১২টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে, আপনারাই ভাবুন সিএএ নিয়ে আলোচনা কতটা প্রাসঙ্গিক।”

হিমন্ত জানিয়েছেন, অসমে মোট ১২টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে ন’টি আবেদন এখনও বিবেচনাধীন। কিন্তু বিরোধীদের আশঙ্কা অমুলক প্রমাণ করতে গিয়ে আসলে এই আইনের সারবত্তাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন তিনি। হিমন্ত এই বিষটিকে গুরুত্ব দিতে না চাইলেও, তাঁর বক্তব্য আসলে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে সিএএ-র প্রাসঙ্গিকতা নিয়েই। যদি বেশি আবেদন জমা না পড়ে তাহলে এই প্রক্রিয়া চালানোর প্রয়োজনীয়তা কোথায়, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ