সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গৌতম আদানি ও তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে মার্কিন শর্ট সেলার হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট খারিজ করে দিয়েছে সেবি। তারা জানিয়েছে, আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কারচুপির কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই, যারা এই মিথ্যা প্রচার চালিয়েছে তাদের ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে আদানি। তিনি বলছেন, গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত হিন্ডেনবার্গের।
সেবির ক্লিনচিট পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত গৌতম আদানি। এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, ‘বিশদ তদন্তের পর আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পক্ষের করা ভিত্তিহীন অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে। আমরা বরাবর স্বচ্ছতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রেখেছি। এই প্রতারণামূলক প্রচারে যে সমস্ত বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়েছে, তাদের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। যারা আমাদের বিরুদ্ধে এই ধরণের প্রচার চালিয়েছে তাদের দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। ভারতের সমস্ত প্রতিষ্ঠান, দেশের জনগণ এবং দেশের আইন ব্যবস্থার প্রতি আমরা দায়বদ্ধ।”
গত বছর জানুয়ারিতে মার্কিন শর্টসেলার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ দাবি করে, নিজেদের ফায়দার জন্য নানাভাবে ভারতের বাজার প্রভাবিত করছে আদানিরা (Adani Group)। মোদি জমানায় আদানি গোষ্ঠীর উত্থানে বড়সড় দুর্নীতির ইঙ্গিত দেয় হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই হু হু করতে পড়তে থাকে আদানিদের শেয়ারের দাম। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টেই বলা ছিল, এর জেরে আদানি গোষ্ঠীর ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতি হতে পারে। শেষ পর্যন্ত সেই পূর্বাভাস মিলেও যায়। আদানিদের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ ছিল, বাজারকে প্রভাবিত করা এবং অ্যাকাউন্টে কারচুপি করা। সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে সেবি।
হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপি সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিল কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলো। এমনকী মামলা উঠেছিল সুপ্রিম কোর্টে। স্বাভাবিকভাবেই হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর পালটা দিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের প্রশ্ন, এই হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই তো আদানি এবং সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যাচার করে গিয়েছে কংগ্রেস। এবার কি তারা ক্ষমা চাইবে?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.