সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে কাটল জট। বিহারে প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে ইন্ডিয়া জোটের আসনরফা। সূত্র মারফত এমনটাই জানা যাচ্ছে। একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় ১৩৫টি আসনে লড়তে চলেছে রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)। অন্যদিকে, ৬১টি ছাড়া হয়েছে কংগ্রেসের জন্য। বাকি আসনগুলিতে লড়বে বামেরা এবং মুকেশ সাহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি)। শোনা যাচ্ছে, ২৯ থেকে ৩১টি আসনে লড়তে পারে বামেরা এবং ১৬টি আসন ছাড়া হতে পারে ভিআইপি-র জন্য। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার আসনরফা সংক্রান্ত গোটা বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, বিহারে ইন্ডিয়া জোটের মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসাবে লালুপুত্র তেজস্বী যাদবের নামেই শিলমোহর পড়েছে।
রবিবার প্রধান শরিক দল জেডিইউ-র সঙ্গে আসনরফা সেরে ফেলেছে বিজেপি। সোমবার আসন বণ্টন নিয়ে বৈঠকে বসে ইন্ডিয়া জোটের বেশ কয়েক জন নেতা। সূত্রের খবর, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাড়িতে চলে হাইপ্রোফাইল বৈঠক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আরজেডি-র প্রতিনিধি তেজস্বীও। এর আগে বিহারের কংগ্রেস সভাপতি কৃষ্ণ আল্লাভারুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন একাধিক শীর্ষ আরজেডি নেতা। তখন শোনা গিয়েছিল, কংগ্রেস কমপক্ষে ৬০টি আসনের দাবি জানিয়েছে। যদিও আরজেডি এতগুলি আসন ছাড়তে রাজি নয়। রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা অবশ্য জানিয়েছিলেন, আসন সমঝোতায় নরম হয়েছে রাহুল গান্ধীর দল। কারণ বিহারের বিগত বিধানসভা ভোটে ৭০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল দলটি। এই পরিস্থিতিতে সোমবার আসনরফা নিয়ে খাড়গের বাড়িতে বৈঠকে বসে কংগ্রেস এবং আরজেডির হাই কমান্ডেরা।
এবারের আসনরফায় জটিলতার অন্যতম কারণ জোটে নতুন শরিকদের আগমন এবং বামেদের বাড়তি আসন দাবি। এবার ইন্ডিয়া জোটে যোগ দিয়েছে মুকেশ সাহানির ভিআইপি, এবং জেএমএমের মতো দল। তাছাড়া এবার বামেরাও বেশি আসন দাবি কর তেজস্বীর কাছে। বাম নেতৃত্বের দাবি, গতবার ২৯টি আসনে লড়াই করে ১৬টি আসনে জয়ী হয় তারা। অর্থাৎ স্ট্রাইক রেটে সকলের থেকে এগিয়ে। তাই গতবারের ২৯-এর বদলে এবার ৪০টি আসন দাবি করে বামেরা। তবে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, ২৯ থেকে ৩১টি আসন ছাড়া হতে পারে বামেদের জন্য। সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, আরজেডি তাদের নিজস্ব আসন কোটা থেকে জেএমএমকে কিছু আসন ছেড়ে দেবে। একইভাবে কংগ্রেসও কিছু আসন ছাড়বে ইন্ডিয়া ইনক্লুসিভ পার্টিকে (আইআইপি )।
আসন সমঝোতা ছাড়া আরও একটা বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল ইন্ডিয়া জোটের অন্দরে। সেটা হল, মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা। আরজেডি চাইছিল তেজস্বীকে সকলে মিলে মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হোক। কিন্তু কংগ্রেস জানায়, তারা কোনও রাজ্যেই এভাবে আগেভাগে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসাবে কারও নাম ঘোষণা করে নির্বাচনে যায় না। ফলে জটিলতা তৈরি। কিন্তু এখন সূত্রের খবর, সেই জটও কেটে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তেজস্বীর নামেই শিলমোহর পড়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.