Advertisement
Advertisement
Meghalaya murder

সন্তানশোক থেকে কুসন্তানের লজ্জা! মেঘালয় হত্যাকাণ্ডে কী বলছেন অশ্রুসজল তিন মা

মধুচন্দ্রিমায় স্বামীহত্যায় অভিযুক্ত নববধূ!

How Meghalaya murder has affected their families
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:June 11, 2025 1:58 pm
  • Updated:June 11, 2025 1:58 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে, ভাড়াটে খুনি লাগিয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে নববধূ নাকি খুন করেছেন স্বামীকে! মেঘালয়ের এক হত্যাকাণ্ড ঘিরে এমনই অভিযোগে তোলপাড় দেশ। ঘটনা যদি সত্যিই এমন হয়ে থাকে, তাহলে নিঃসন্দেহে বিশ্বাসঘাতকতা ও নৃশংসতার এক নজির হয়েই থেকে যাবে তা। এহেন পরিস্থিতিতে স্বামী রাজা রঘুবংশী, স্ত্রী সোনম এবং তাঁর প্রেমিক রাজ কুশওয়াহর পরিবার ভেঙে পড়েছে শোকে। রাজার মা যেমন মানতে পারছেন না সন্তানের এমন পরিণতি, অভিযুক্ত সোনম ও রাজের মায়ের আবার দাবি, তাঁদের সন্তানেরা নির্দোষ! সব মিলিয়ে দেশজুড়ে শোরগোল ফেলে দেওয়া এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত তিন চরিত্রের মায়ের সংলাপ রয়েছে চর্চায়। তা তুলে ধরছে এদেশের জননীদের অসহায়তার এক করুণ চিত্র।

Advertisement

বরবেশী ছেলের মালাশোভিত ছবির দিকে তাকিয়েই আপাতত দিন কাটছে উমা রঘুবংশীর। মুখময় অপত্যহারা যন্ত্রণা এবং সেই সঙ্গে পুত্রবধূর উপরে তৈরি করে থাকা প্রবল ক্রোধের মেঘ। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলছেন, ”প্রথমে তো বিশ্বাসই করতে পারিনি খবরটা। পুত্রবধূ সোনম এমন করেছে এটা অবিশ্বাস্য। কিন্তু ধীরে ধীরে স্পষ্ট হল এটাই সত্যি। যদি ওর অন্য প্রেমিক থেকে থাকে তাহলে ও রাজাকে বিয়ে করতে অসম্মত হল না কেন? কেন আমার ছেলেটাকে মেরে ফেলল? ভাবতে পারিনি মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমা করতে যাওয়া ছেলেটার শবদেহ ফিরবে বাড়িতে!”

এদিকে সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় অভিযুক্ত রাজের মা দাবি করছেন, তাঁর ছেলে নির্দোষ। চুন্নি দেবীর কথায়, ”আমার ছেলে নিরপরাধ। ওকে ফাঁসানো হচ্ছে। একটা কুড়ি বছরের ছেলে এত বড় অপরাধ করতে পারে? ওর বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে ওই আমাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী।” প্রসঙ্গত, সোনমদের মামাবাড়ির পারিবারিক সানমাইকার ব্যবসা। সেখানেই কর্মী হিসেবে কাজ করতেন রাজ। রাজার মৃত্যুর পর সেখানেও গিয়েছিলেন তিনি। সেপ্রসঙ্গে চুন্নি দেবী বলছেন, ”আমার ছেলে রাজা রঘুবংশীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিল। ও তো শেষকৃত্যেও অংশ নিয়েছিল। পরে বাড়ি ফেরার পর কান্নাকাটিও করছিল। আমিই ওকে সান্ত্বনা দিয়ে বলি, সব তো শেষ হয়ে গেল। এখন আর কেঁদে কী হবে।” তিন কন্যাকে নিয়ে ইন্দোরের এক ছোট্ট ভাড়াবাড়িতে থাকেন চুন্নি দেবী। এভাবেই নিজের ছেলের ‘নির্দোষ’ হওয়ার দাবিকে বুকে আঁকড়েই দিন কাটছে তাঁর।

একই দাবি সোনমের মায়েরও। যদিও তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে নারাজ। যেটুকু বলছেন তাতে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ”আমার মেয়ে সম্পর্কে ভুয়ো অভিযোগ করা হচ্ছে। এখানে অবশ্য আমি বলতে পারব না মেঘালয়ে ঠিক কী হয়েছে।” তিনি চাইছেন বিস্তারিত তদন্ত হোক। তবেই ধরা পড়বে আসল অপরাধী।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ