Advertisement
Advertisement
TRF

পহেলগাঁওয়ের খুনিদের বাঁচাতে আসরে পাকিস্তান! TRF-কে জঙ্গি ঘোষণার বিরুদ্ধে কী যুক্তি ইসলামাবাদের?

শাহবাজ শরিফের সরকারের দাবি, মার্কিন বিবৃতি বাস্তবসম্মত নয়।

How Pakistan reacted as US lists Lashkar proxy TRF as terrorist organisation
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 19, 2025 11:04 am
  • Updated:July 19, 2025 11:04 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে হামলা চালানো দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট বা টিআরএফকে জঙ্গি সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে আমেরিকা। ‘বন্ধু’ ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া এই ধাক্কা যেন হজম হচ্ছে না ‘জেহাদি’দের মদতদাতা পাকিস্তানের। এই মার্কিন সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় একাধিক কূট যুক্তি খাড়া করার চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের দাবি, যে পহেলগাঁও হামলায় টিআরএফের জড়িত থাকার কথা বলা হচ্ছে, সেই হামলার তদন্তের এখনও নিস্পত্তিই হয়নি।

Advertisement

শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে টিআরএফকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী’ তালিকাভুক্ত করেছে আমেরিকা। মার্কিন বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টকে এফটিও এবং এসডিজিটি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ আমেরিকার তরফে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সন্ত্রাসদমন এবং জঙ্গিদের ঘাঁটি ধ্বংস করতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতার পক্ষে বারবার সওয়াল করেছে ভারত। টিআরএফকে জঙ্গি ঘোষণা করার বিষয়টিও সন্ত্রাসদমনে ভারত-আমেরিকার সহযোগিতার প্রতিফলন। সঠিক সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করা হয়েছে টিআরএফকে নিয়ে।’ মার্কিন ওই বিবৃতিকে প্রত্যাশিতভাবেই স্বাগত জানায় নয়াদিল্লি। ভারত জানায়, সন্ত্রাসদমনে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের নিবিড় সহযোগ রয়েছে। সেটারই প্রতিফলন ঘটেছে এই সিদ্ধান্তে।

প্রত্যাশিতভাবেই মার্কিন ওই বিবৃতির পর জেহাদি সংগঠন টিআরএফকে বাঁচাতে আসরে নেমে পড়ে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ মার্কিন বিবৃতির একাধিক পয়েন্টে আপত্তি জানায়। পাক সরকার বিবৃতিতে দাবি করে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনের সারি থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে পাকিস্তান। এ বিষয়ে তারা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে এগোচ্ছে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতায় আন্তর্জাতিক সহায়তার আশা রাখছে।” আবার একই সঙ্গে পাকিস্তানের দাবি, পহেলগাঁওয়ের ঘটনার তদন্ত এখনও অমীমাংসিত। ফলে সেই ঘটনার ভিত্তিতে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয়।

শুধু তাই নয়, টিআরএফকে লস্কর-ই-তৈবার শাখা হিসাবে দেখানোরও তীব্র বিরোধিতা করেছে পাক সরকার। শাহবাজ শরিফের সরকারের দাবি, মার্কিন বিবৃতি বাস্তবসম্মত নয়। ইসলামাবাদের দাবি, “লস্কর পাকিস্তানে নিষিদ্ধ একটি বিলুপ্ত সংগঠন। ওই সংগঠনের শাখাগুলিকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নেতৃত্বকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাকিস্তান কার্যকরভাবে ওই সংগঠনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সেই সংগঠনের সঙ্গে টিআরএফের যোগসাজশ বাস্তবসম্মত নয়।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement