সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নয়ডায় পণের দাবিতে বধূ খুনের ঘটনায় কেঁপে উঠেছে গোটা দেশ। স্বামী, শাশুড়ি-সহ ইতিমধ্যেই সব অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে নিজের মৃত মেয়ের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নিকি ভাতির বাবা ভিকারি সিং পয়লা। বলেন, “আজ আমি সর্বস্ব হারিয়ে ফেললাম। বলার কোনও ভাষা নেই।”
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ভিকারি বলেন, “আমাদের বংশে বিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে হয়। আর আমি আমার দুই মেয়ের বিয়ে ভালোভাবেই দিয়েছিলাম। ২০১৬ সালে একই বাড়িতে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। বিয়েতে যৌতুকও দিয়েছিলাম। আজ আমি সর্বস্ব হারিয়ে ফেললাম।” নিকির পরিবার সূত্রে খবর, দুই মেয়ের বিয়েতে ভিকারি যৌতুক হিসাবে জামাইদের চারচাকা গাড়ি, টাকাপয়সা এবং সোনা দিয়েছিলেন। কিন্তু বিয়ের কিছুমাস পর থেকে নিকির স্বামী এবং শ্বশুরবাড়িক চাহিদা ক্রমেই বাড়তে থাকে। টানা ১০ বছর তাদের অত্যাচার সহ্য করছিলেন নিকি।
গ্রেটার নয়ডার সিরসা এলাকার বাসিন্দা বিপিন ভাতি নামে এক যুবকের সঙ্গে নিকির বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে যুবতীর উপর অত্যাচার চালাতেন স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের। বাপেরবাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য দিনের পর দিন তাঁকে চাপ দেওয়া হত। শুধু মানসিক অত্যাচার নয়, নিকিকে বেধড়ক মারধরও করা হতো বলে অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। কিন্তু সম্প্রতি সেই অত্যাচারের মাত্রা চরমে ওঠে। অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার নিকিকে মারধরের পর তাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারেন তাঁর স্বামী এবং শ্বাশুড়ি।
এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে (যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল)। যেখানে দেখা যাচ্ছে, যুবতীকে চুলের মুটি ধরে বেধড়ক মারধর করছেন স্বামী এবং শ্বাশুড়ি। অপর একটি ভিডিওতে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাঁকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে প্রতিবেশীরা তাঁকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে তাঁকে অন্য একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই সব অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.