হেমন্ত মৈথিল, ভাদোহী: মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ভাদোহীতে ৪৯তম আন্তর্জাতিক কালীন মেলা এবং চতুর্থ কার্পেট এক্সপোর উদ্বোধন করলেন। তিনি দেশি-বিদেশি কার্পেট শিল্পী ও রপ্তানিকারকদের সঙ্গে আলোচনা করেন। মুখ্যমন্ত্রী তাদের পূর্ণ সরকারি সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, মার্কিন শুল্ক নিয়ে ভয় পাওয়ার দরকার নেই। নতুন বাজার ধরার সেরা সময় হিসেবে এই সুযোগকে কাজে লাগানো উচিত। তিনি জানান, চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলে তবেই সাফল্য মিলবে।
সরকার ইউএই, ইউকে-সহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে দ্রুত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি শুরু করছে। অত্যাধিক শুল্কের প্রভাব মোকাবিলায় একটি উচ্চ-পর্যায়ের কমিটিও গঠন করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, ১১ বছর আগে এই শিল্প প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে ছিল। এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কার্পেট ক্লাস্টার পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। প্রথম এক্সপোতে খুব কম বিদেশি ক্রেতা এসেছিলেন। বর্তমানে ৮৮টি দেশের ৩০০ থেকে ৪০০ জন ক্রেতা এখানে অংশগ্রহণ করতে চলেছেন। এটি বিশ্বজুড়ে ভাদোহীর কার্পেটের চাহিদাকে জানান দেবে।
তিনি ‘এক জেলা এক পণ্য’ (ODOP) প্রকল্পের সাফল্যের কথা মনে করিয়ে দেন। এই উদ্যোগের ফলে উত্তরপ্রদেশ থেকে ২ লক্ষ কোটি টাকার বেশি রপ্তানি সম্ভব হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, কার্পেট শিল্প শুধু বাণিজ্য নয়, এটি কারিগরদের জীবন্ত ঐতিহ্য। এই শিল্পটি ২৫-৩০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের সঙ্গে জড়িয়ে। প্রতি বছর প্রায় ১৭,০০০ কোটি টাকা রপ্তানি আয় হয়। এটি নারী ক্ষমতায়নেরও অন্যতম বড় মাধ্যম। সরকার আরও বেশি করে মহিলাদেরকে এই কাজে যুক্ত হতে উৎসাহ দিচ্ছে।
রপ্তানিকারক আলোক বর্ণওয়াল শ্রমিকের অভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন, স্বনির্ভরতা বাড়াতে স্থানীয় কর্মী ও নারীদের সঙ্গে এই শিল্পকে যুক্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের লক্ষ্য শিল্পটিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া। যোগী বলেন, ‘আত্মনির্ভর ভারতের চেতনায় আমরা এক দেশের শুল্কের জবাবে ১০টি নতুন পথ খুলব’। মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চিত করেন যে সরকার এই শিল্পের পাশে আছে এবং এই শিল্পের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.