Advertisement
Advertisement
Yashwant Varma

নগদকাণ্ডে বিচারপতি ভার্মাকে সরানোর প্রস্তুতি, সংসদে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনছে সরকার

চলতি বছরের ১৪ মার্চ বিচারপতি ভার্মার বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড ও বিপুল পরিমাণ পোড়া টাকা উদ্ধার হয়।

Impeachment motion to be brought against Yashwant Varma

বিচারপতি যশবন্ত বর্মা।

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:June 4, 2025 11:03 am
  • Updated:June 4, 2025 2:03 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিচারপতির বাড়ি থেকে নগদ উদ্ধারের ঘটনায় এবার কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, নগদ কাণ্ডে অভিযুক্ত বিচারপতি যশবন্ত ভার্মাকে সরাতে আসন্ন বাদল অধিবেশনে তাঁর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পেশ করতে চলেছে শাসক দল। জানা যাচ্ছে, সংসদে বিচারপতির বিরুদ্ধে এই প্রস্তাব আনতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গেও কথা বলবেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

চলতি বছরের ১৪ মার্চ তৎকালীন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি ভার্মার বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড ও বিপুল পরিমাণ পোড়া টাকা উদ্ধারের ঘটনায় সাড়া পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। অভিযোগ ওঠে পুড়ে যাওয়া ওই নোটের বান্ডিল ছিল হিসাব বহির্ভূত টাকা। মামলার তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ঋণ সদস্যের আভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। এই কমিটি বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পেলেও সেভাবে এখনো কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। শুধুমাত্র দিল্লি হাইকোর্ট থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় এলাহাবাদ হাইকোর্টে। ঘটনার জেরে বারবার এই ইস্যুতে সরব হয়েছে সরকার পক্ষ। খোদ উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় প্রশ্ন তোলেন কেন এই ঘটনায় এখনও কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি। সব মিলিয়ে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত মুখোমুখি দাঁড়ায় সরকার ও দেশের বিচারব্যবস্থা।

এদিকে যশবন্ত ভার্মার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর তদন্ত কমিটির তরফে তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা হয়। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বিচারপতি জানিয়ে দেন তিনি ইস্তফা দেবেন না। ঘটনার পর তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্ট, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠায় কমিটি। সরকারি সূত্রের খবর, ওই তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতেই আসন্ন বাদল অধিবেশনে বিচারপতি ভার্মার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট আনার প্রক্রিয়া শুরু করছে সরকার পক্ষ।

উল্লেখ্য, এই ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পেশ হওয়ার অর্থ হল অভিযুক্ত ওই বিচারপতির অপসারণ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ। এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত করতে হলে সংসদের উভয় কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে এই প্রস্তাব গৃহীত হতে হবে। তবে অভিযুক্ত যদি দোষী না হন সেক্ষেত্রে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না, এবং প্রস্তাবভ বাতিল হবে। আর যদি দোষী সাব্যস্ত হন সেক্ষেত্রে প্রস্তাব পাশ হওয়ার পর বিচারপতিকে অপসারণের জন্য তা পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement