প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষ্ণনগরের পর এবার বিহারের রোহতাস। প্রেমের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় সোমবার কৃষ্ণনগরে যুবতীর বাড়ি ঢুকে গুলিতে খুনের অভিযোগ উঠেছে খোদ প্রেমিকের বিরুদ্ধে। সে এখনও পলাতক। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা বাংলায়। এবার সেই কৃষ্ণনগরের ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হল বিহারের রোহতাসে। ভিনজাতের প্রেমিককে বিয়েতে আপত্তি জানিয়েছিলেন প্রেমিকা। প্রেমিক অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেও বিফল হন। আর তারপরই প্রতিহিংসাবশত প্রেমিকাকে গুলি করে খুনের পর যুবক আত্মঘাতী হয়েছে, গোটা ঘটনা নিয়ে এমনই ধারণা স্থানীয় বাসিন্দাদের। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম কাজল কুমারী। বিহারের রোহতাস জেলার একটি গেস্ট হাউস থেকে যুগলের দেহ উদ্ধার করেছে বিহার পুলিশ। নিহত তরুণী কাজলের মা গায়ত্রী দেবী জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে একটি শপিং মলে কাজ করত। দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেই কাজলকে তিনি বাজারে পৌঁছে দেন। পরে খবর পান বলিয়া জেলার এক ব্যক্তি গুলি চালিয়ে তাঁর মেয়েকে খুন করেছে। গায়ত্রী দেবী আরও জানিয়েছেন, ভিন্ন জাতির হওয়ায় জ্যাকির সঙ্গে বিয়েতে আপত্তি ছিল তাঁর। কাজলও ওকে বিয়ে করতে চায়নি। তা সত্বেও জোর করে কাজলকে বিয়ে করতে চেয়েছিল জ্যাকি। তাঁকে অন্য কারও হতে দেবে না বলে হুমকিও দিয়েছিল সে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, কাজলের ওই প্রেমিকের নাম জ্যাকি। আগে প্রেমিকা কাজলকে সে গুলি চালিয়ে হত্যা করে, পরে আত্মঘাতী হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় কাজলকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে বারাণসীর হাসপাতালেও স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। কাজলকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। গেস্ট হাউস থেকে একটি পিস্তল ও কার্তুজের খোল উদ্ধার হয়েছে।
কৃষ্ণনগরের বাড়িতে ঢুকে ছাত্রীকে হত্যাকাণ্ডে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিহারেও প্রায় একইরকম ঘটনা ঘটে যাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ মনোবিদদের কপালে। তাঁদের মত, যে কোনও কারণেই ভালোবাসার সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে। এটা খুব স্বাভাবিক একটা বিষয়। প্রেমে প্রত্যাখাত হলে বা সম্পর্ক ভেঙে গেলে সঙ্গীকে খুন করা কিংবা তার জন্য নিজের জীবন শেষ করে দেওয়াটা কোনও সমাধান নয়। কষ্ট হলেও তা সহ্য করেই আগামীর দিকে এগিয়ে যেতে হবে। এটাই জীবনের নিয়ম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.