Advertisement
Advertisement
Uttar Pradesh

উত্তরপ্রদেশে ৮ বছরে এনকাউন্টারে খতম ২৩৪! যোগীর ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে আস্থা জনতার

রাজ্যের কোন জোনে কত এনকাউন্টার? নিহতের সংখ্যা কত?

In eight years, Uttar Pradesh police have confronted 234 notorious criminals as part of Yogi's zero-tolerance approach.
Published by: Hemant Maithil
  • Posted:June 19, 2025 5:42 pm
  • Updated:June 19, 2025 5:53 pm  

হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দুষ্কৃতীদের প্রতি যোগী আদিত্যনাথের কোনওরকম আপস না করার মনোভাব লক্ষ করা গিয়েছিল। আর তাই রাজ্যকে অপরাধমুক্ত করতে পুলিশি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়ে ছিলেন তিনি। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ-প্রশাসনের হাতে ঢালাও ক্ষমতা প্রদান করেছিলেন। মাফিয়ারাজ খতম করতে কার্যকর করা হয় যোগী সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিকে।

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ সরকার অপরাধ সম্পর্কিত একটি তথ্য প্রকাশ করেছে। সেই তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত মোট ১৪,৭৪১টি এনকাউন্টারে ২৩৪ জন কুখ্যাত অপরাধী নিহত হয়েছে। অভিযান চালিয়ে পাকড়াও করা হয়েছে ৩০,২৯৩ জন দুষ্কৃতীকে। আহত হয়েছে ৯,২০২ অপরাধী। এই অভিযান চলাকালীন শহিদ হয়েছেন ১৮ জন পুলিশ। আহত হয়েছেন ১৭০০ জনেরও বেশি পুলিশ কর্মী।

ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ রাজীব কৃষ্ণ জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি এনকাউন্টার হয়েছে অপরাধের শীর্ষ পীঠস্থান মিরাট জোনে। সেখানে ৪১৮৩টি অভিযানে ৭৮৭১ জন দুষ্কৃতী গ্রেপ্তার হয়েছে। এর মধ্যে ২৮৩৯ জন আহত এবং ৭৭ জন নিহত হয়েছে। এসব অভিযানে ৪৫২ জন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন এবং দু’জন কর্মকর্তা প্রাণ হারিয়েছেন।

বারাণসী জোনে ১০৪১টি এনকাউন্টার হয়েছে। সেখানে ২০০৯ জন অপরাধী গ্রেপ্তার, ২৬ জন নিহত এবং ৬০৫ জন আহত হয়েছে। এসব অভিযানে ৯৬ জন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। আগ্রা জোন তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সেখানে ২২৮৮টি এনকাউন্টারে ৫৪৯৬ জন অপরাধী গ্রেপ্তার, ১৯ জন নিহত এবং ৭১৫ জন আহত হয়েছে। এসব এনকাউন্টারে ৫৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

ডিজিপি-র তথ্য অনুযায়ী, লখনউ জোনে ৭৯০টি এনকাউন্টারে ১৫ জন দুর্ধর্ষ অপরাধী নিহত হয়েছে। প্রয়াগরাজে ৫০৬টি এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে ১০ জন। বরেলী জোনে ১৯৬২টি এনকাউন্টারে ১৫ জন অপরাধী নিহত হয়েছে। আর কানপুর জোনে ৬৫৭টি এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে ১১ জন। গোরক্ষপুরে ৫৯৪টি এনকাউন্টারে ৮ জন অপরাধী নিহত হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন দৃঢ়ভাবে জানিয়েছেন, “অপরাধী হয় জেলে থাকবে, অথবা রাজ্যের বাইরে যাবে।” যোগীর এই আপসহীন নীতি জনগণের আস্থা বাড়িয়ে তুলেছে। ফলস্বরূপ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলায় শান্তি বজায় রয়েছে। গত কয়েক বছরে অপরাধ, তোলাবাজি, মাফিয়া কার্যকলাপ একেবারে কমে এসেছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে এই অভিযান জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তব সাফল্যকে তুলে ধরেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। উত্তরপ্রদেশ এখন নিরাপদ ও ভয়মুক্ত রাজ্য হিসেবে চিহ্নিত।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement