রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়গে। ছবি- সংগৃহীত।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে দীর্ঘতম ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আত্মনির্ভরতা, বিকশিত ভারত, থেকে অনুপ্রবেশকারী সমস্যা। নানা ইস্যুতে সুর চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী। তবে মোদির সেই ভাষণ শুনতে উপস্থিতই থাকলেন না সংসদের দুই কক্ষের দুই বিরোধী দলনেতা। রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে দুজনেই এদিন লালকেল্লায় গরহাজির ছিলেন।
লালকেল্লায় সরকারি অনুষ্ঠানে না গিয়ে খাড়গে কংগ্রেসের সদর দপ্তরে এবং রাহুল গান্ধী ইন্দিরা ভবনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছেন। অবশ্য সোশাল মিডিয়াতেও দুজনই দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে রাহুল এক্স হ্যান্ডেলে লিখলেন, “এই স্বাধীনতার জন্য বহু দেশপ্রেমীকে আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। আমাদের দায়িত্ব সত্য এবং ভ্রাতৃত্বের ভিতে এই দেশকে প্রতিষ্ঠিত করা। সবার হৃদয় যেন সম্মান এবং সম্প্রীতিতে পরিপূর্ণ থাকে, সেটাও আমাদের কর্তব্য।” মল্লিকার্জুন খাড়গে বলছেন, “আজকের দিনটা স্বাধীনতা, সুবিচার সাম্যের আদর্শ মনে রাখার দিন।”
কিন্তু কেন স্বাধীনতা দিবসের অনুস্থানে গেলেন না দুই শীর্ষ কংগ্রেস নেতা? দলের তরফে সরকারিভাবে কোনও কারণ দেখানো হয়নি। সূত্র অবশ্য বলছে, দলীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলনের জন্যই জাননি রাহুলরা। তবে রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, গত বছর আসন বণ্টন কেলেঙ্কারির জন্যই এবার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে গরহাজির থেকেছেন রাহুলরা। আসলে আগের স্বাধীনতা দিবসে প্রোটোকল ভেঙে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে শেষের দিকের আসনে বসতে দেওয়া হয়েছিল। প্রোটোকল অনুযায়ী, লোকসভা এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রথম সারিতে বসার সুযোগ পান। কিন্তু রাহুলকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি।
যদিও এ বছর ওই অনুষ্ঠানে না যাওয়া নিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা এক্স হ্যান্ডেলে লিখছেন, “স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে দেশের বিরোধী দলনেতাদের উপস্থিত থাকাটা সাংবিধানিক কর্তব্য। রাজনীতি করতে গিয়ে এঁরা স্বাধীনতা দিবসেরও অসম্মান করছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.