বৈঠকে ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্বরা।
সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: বাদল অধিবেশনে মোদি সরকারকে পেড়ে ফেলতে রণসাজে ইন্ডিয়া জোট। মঙ্গলবার অধিবেশন শুরুর আগে রাজ্যসভা, লোকসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ও রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়েছে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ৭টি ইস্যুতে মোদি সরকারের উপর চড়াও হবে বিরোধী শিবির।
মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল। তিনি লেখেন, চলতি অধিবেশনে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মোদি সরকারের জবাব তলব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্বরা। মূলত ৭টি বিষয় নিয়ে সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে দেশবাসীর যে প্রশ্নগুলির উত্তর চান সেটাই জানতে চাওয়া হবে সরকারের কাছে। এই প্রশ্নগুলি হল…
১. পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা।
২. অপারেশন সিঁদুর ও সংঘর্ষবিরতি নিয়ে ট্রাম্পের বিবৃতি।
৩. বিহারে চলতে থাকা ভোটার তালিকা সংশোধন বা SIR।
৪. সীমান্ত পুনর্বিন্যাস।
৫. দলিত, আদিবাসী ও মহিলাদের বেড়ে চলা অত্যাচার।
৬. আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা।
৭. মণিপুরে জাতিগত হিংসা।
শুরুতে গররাজি হলেও, বিরোধীদের প্রবল চাপের মুখে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা ও অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা করতে ইতিমধ্যেই রাজি হয়েছে মদি সরকার। তবে আলোচনায় রাজি হলেও অভিযোগ, বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। এহেন গুরুতর বিষয়ে আলোচনার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১৬ ঘণ্টা। রাজ্যসভায় আলোচনার জন্য বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ৯ ঘণ্টা। বিরোধী শিবির চায় গুরুত্বপূর্ণ এই আলোচনায় সংসদে উপস্থিত থাকুন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে চলতি সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পূর্বনির্ধারিত বিদেশ সফর আছে। তাই এখনই এ নিয়ে আলোচনা হবে না বলে জানা যাচ্ছে।
In the meeting of INDIA bloc leaders in the presence of Rajya Sabha LOP Sh. Mallikarjun ji and Lok Sabha LOP Sh. ji, the opposition has decided to press for the PM’s presence in the House to answer questions on pressing issues, such as:
1. Pahalgam terror…
— K C Venugopal (@kcvenugopalmp)
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের জঙ্গি হানা, অপারেশন সিঁদুর এবং ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতি নিয়ে সরকারের ‘জবাবদিহি’ আগেই চেয়েছিল বিরোধীরা। সেই লক্ষ্যে সংসদের বিশেষ অধিবেশন চেয়ে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গেরা। তবে সে কথা কানে তোলেনি সরকার। তাই বাদল অধিবেশনে এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে ঝাঁপিয়ে পড়তে তৈরি রাহুলরা। শুধু সংঘর্ষ ইস্যু নয়, বিরোধীদের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে বিহারে ভোটের আগে ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে মানুষকে ভোটদান থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। ৫০ লক্ষের বেশি মানুষ তাঁদের ভোটাধিকার হারাতে চলেছেন। তাঁদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দাগিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা চলছে। SIR-এর নামে মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি দলিত নির্যাতন, বিমান দুর্ঘটনা, মণিপুর হিংসার মতো ইস্যু তুলে ধরে মোদি সরকারের উপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিল বিরোধী শিবির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.