সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের সরাসরি বিমান পরিষেবা শুরু হতে চলেছে ভারত ও চিনের মধ্যে! যা বন্ধ রয়েছে সেই কোভিডকাল থেকে। শুক্রবার দিল্লিতে এনিয়ে বিশেষ বৈঠক হয়েছে বিদেশসচিব বিক্রম মিসরি ও চিনের উপ বিদেশমন্ত্রী সান ওয়েইডংয়ের মধ্যে। সেখানেই মিলেছে সবুজ সংকেত। সম্মত হয়েছে দু’দেশেই। ফলে মনে করা হচ্ছে, দিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পথে।
চলতি বছরেই ভারত ও চিন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। সেই সময়ও বিমান পরিষেবা চালু নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সূত্রের খবর, দু’দিনের ভারত সফরে এসেছেন সান ওয়েইডং। আজ তিনি বৈঠক করেন বিক্রম মিসরির সঙ্গে। দু’দেশের নাগরিকদের উন্নতিসাধনের জন্য় তাঁরা একমত। জানা গিয়েছে, আলোচনার পর বিমান পরিষেবা পুনরায় শুরু করা নিয়ে বিক্রম ও সান সিদ্ধান্ত নেন। তবে কবে থেকে এই পরিষেবা শুরু তা নিয়ে এখনও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
গত বছরের ডিসেম্বরে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। তাঁদের আলোচনার পর জানা যায় প্রায় চার বছর পর ফের স্বাভাবিকভাবে শুরু হবে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা। তারপর বিদেশমন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানায়, জুন থেকে আগস্টের মধ্যে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। এর জন্য় আজ সানকে ধন্য়বাদ জানান বিক্রম।
উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবর মাসেই লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে চুক্তি হয় ভারত ও চিনের মধ্যে। সেই অনুযায়ী ডেমচক, দেপসাংয়ের মতো একাধিক এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেয় দুদেশ। কিন্তু সীমান্তের পরিস্থিতি যে আদৌ শান্ত হয়নি ফের তার প্রমাণ মেলে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভারত-চিন সীমান্ত। লাদাখ ভূখণ্ড নিয়ে ২ নতুন প্রদেশ তৈরি করার কথা ঘোষণা করে বেজিং। হোটান প্রদেশে নতুন ২ কাউন্টি তৈরি করার কথা জানায় তারা। যার মধ্যে রয়েছে লাদাখের অংশ। স্বাভাবিকভাবেই কমিউনিস্ট দেশটির এই আগ্রাসনে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে দিল্লি। ভারতের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানার তীব্র প্রতিবাদ জানায় বিদেশমন্ত্রক। তবে এরপর ধীরে ধীরে ফের আলোচনায় বসতে শুরু করে দু’দেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.