Advertisement
Advertisement
হাইপারসনিক প্রযুক্তি

শব্দের চেয়ে ছ’গুণ জোরে ছুটবে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র, সফল হাইপারসনিক পরীক্ষা

বিশ্বের মাত্র তিনটি দেশের কাছে এই প্রযুক্তি রয়েছে।

India becomes fourth country to test Hypersonic Technology
Published by: Paramita Paul
  • Posted:September 7, 2020 2:07 pm
  • Updated:September 7, 2020 7:43 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শব্দের চেয়ে ছ’গুণ গতিতে ছুটবে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র। সোমবার ওড়িশার বালাসোরে (Hypersonic) প্রযুক্তির সফল পরীক্ষা করল ডিআরডিও। প্রসঙ্গত, আপাতত বিশ্বের মাত্র তিনটি দেশ-আমেরিকা (USA), রাশিয়া (Russia) ও চিনের (China) কাছে এই প্রযুক্তি রয়েছে। এবার সেই তালিকায় নাম জুড়তে চলেছে ভারতেরও।

Advertisement

আজ, সোমবার সকালে ১১ টা নাগাদ বালাসোরের এপিজে আব্দুল কালাম টেস্টিং রেঞ্জ থেকে এই Hypersonic Test Demonstrator Vehicle (HSTDV)টি উৎক্ষেপণ করা হয়। অগ্নি মিসাইল বুস্টার ব্যবহার করে এটি পরীক্ষা করা হয়। সেই বুস্টার হাইপারসনিক ভেহিকেলকে ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় নিয়ে যায়। তারপর অগ্নি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সেটি। সফলভাবে স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিন চালু করা হয়।

[আরও পড়ুন : লাদাখে শহিদ বিশেষ বাহিনীর তিব্বতি জওয়ান, শেষ যাত্রায় উঠল ‘‌ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান]

প্রসঙ্গত, এটি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে ডিফেন্স রিসার্চ এন্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO)। এই পরীক্ষার নেতৃত্বে ছিলেন DRDO-এর প্রধান সতীশ রেড্ডি ও তাঁর টিম। তাঁদের তরফে জানানো হয়েছেষ এদিনের পরীক্ষা সম্পূর্ণ সফল। পরীক্ষার প্রতিটি মাপকাঠিতেই সফলভাবে উতরে গিয়েছে HSTDV। ফলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ভারতের অস্ত্রভান্ডারে চলে আসবে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই হাইপারসনিক মিসাইল। এর আগেও একবার এই প্রযুক্তির পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেবার সাফল্য মেলেনি। এবার ফুলমার্কস নিয়ে উতরে গিয়েছে HSTDV।

[আরও পড়ুন : বেজে উঠেছে যুদ্ধের দামামা! লাদাখ সীমান্তে চক্কর কাটছে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান]

সুপারসনিকের সঙ্গে হাইপারসনিকের পার্থক্য কোথায়? শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন হলে তাকে সুপারসনিক বলা হয়। ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র এই প্রযুক্তিতেই তৈরি। কিন্তু হাইপারসনিক-এর অর্থ শব্দের চেয়ে ছ’গুন বেশি গতিসম্পন্ন। কিলোমিটার এককে ধরলে প্রতি সেকেন্ডে দু’কিলোমিটারের বেশি গতিতে ছুটতে পারে এই হাইপারসনিক প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র।

শুধু গতিই নয়, এই ক্ষেপণাস্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করাও অনেকটাই সহজ। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শত্রুপক্ষও এর অবস্থান কার্যত ধরতেই পারে না। কার্যকারিতাও বহুমুখী। ভূমি, আকাশ এবং যুদ্ধজাহাজ তিন প্ল্যাটফর্ম থেকেই ছোড়া যাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র। সক্ষম হবে পরমাণু অস্ত্র থেকে শুরু করে রাসায়নিক ও জৈবিক অস্ত্র বহনেও।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ