Advertisement
Advertisement
করোনা

মজুত মাত্র ২৫ শতাংশ, করোনা চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা

ঢালহীন সৈন্যের মতো লড়াই করতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।

India has only 25% of the masks to fight CoronaVirus
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:March 30, 2020 8:58 am
  • Updated:March 30, 2020 8:58 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (CoronaVirus) কামড়ে বিশ্বজুড়েই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন হাজার মানুষ। সরকারি তথ্য বলছে, এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে ভাইরাস সংক্রমিতের সংখ্যা ৭ লক্ষ পেরিয়েছে। গোটা বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও দাপট বাড়াচ্ছে মারক ভাইরাস। এখনও পর্যন্ত ভারতে হাজারেরও বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত।ইতিমধ্যেই প্রাণ গিয়েছে ২৭ জনের। গোটা বিশ্ব এই ভাইরাসের দাপট থেকে বাঁচার জন্য নিজেদের মতো প্রস্তুতি নিচ্ছে। ব্যতিক্রম নয় ভারতও। কিন্তু এদেশের বাস্তব ছবিটা বেশ উদ্বেগের। একটি গবেষণা বলছে, করোনা রুখতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রীর মাত্র ২৫ শতাংশ মজুত আছে ভারতে। বাকি ৭৫ শতাংশের জন্য হা-হুতাশ ছাড়া কোনও বিকল্প নেই।

Advertisement

Corona-Test

ইনভেস্ট ইন্ডিয়া (Invest India agency) নামের একটি সংস্থা সম্প্রতি করোনা রুখতে দেশের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেছে। তাঁদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী যে গতিতে করোনা ছড়াচ্ছে, সেই হারেও যদি ছড়াতে থাকে তাহলে শীঘ্রই অন্তত ৩ কোটি ৮০ লক্ষ বিজ্ঞানসম্মত মাস্ক লাগবে ভারতে। চিকিৎসকদের জন্য Personal protective equipment বা PPE প্রয়োজন অন্তত ৬২ লক্ষ। দুঃখের বিষয় দুটি ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় লক্ষমাত্রার মাত্র ২৫ শতাংশ মজুত আছে সরকারের হাতে। ইনভেস্ট ইন্ডিয়ার রিপোর্ট বলছে, আপাতত ভারতে কমবেশি ৯১ লক্ষ বিজ্ঞানসম্মত মাস্কের জোগান আছে। অন্যদিকে PPE-র জোগান আছে মাত্র ৮ লক্ষ। চিকিৎসকদের নিরাপত্তার জন্য PPE অতি প্রয়োজনীয়। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উপযুক্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা ছাড়াই করোনার বিরুদ্ধে নামতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে ইনভেস্ট ইন্ডিয়ার রিপোর্ট উদ্বেগ আরও বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের।

[আরও পড়ুন: দিল্লির পর এবার কেরল, বাড়ি ফিরতে চেয়ে রাস্তায় কয়েকশো ঠিকা শ্রমিক]

গত ২৭ মার্চ ইনভেস্ট ইন্ডিয়া নিজেদের রিপোর্ট পেশ করেছে। তাঁরা বলছে চিকিৎসার জন্য মাস্ক, ভেন্টিলেটর এবং PPE তৈরির জন্য মোট ৭৩০টি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। এর মধ্যে মাত্র ৩১৯টি সংস্থা ইতিবাচক জবাব দিয়েছে। দেশে করোনা পরীক্ষার কিটের অপ্রতুলতা নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে আইসিএমআরের ভূমিকা নিয়েও। এবার সরকারিভাবেই চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement