নন্দিতা রায়: দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কাশ্মীরে যাওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল পৌঁছে গেল রাজৌরিতে। পাকিস্তানের গোলা বর্ষণে ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্ত সীমান্তের একাধিক অঞ্চল। সেই সব অঞ্চল পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। পাশাপাশি পাক হানায় আহতদের দেখতে রাজৌরির জেলা হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজ পর্যবেক্ষণ করেন। আহতদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তৃণমূল।
এর আগে বৃহস্পতিবার পুঞ্চে গিয়ে পাক গোলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ান। ডেরেক ও ব্রায়েন, সাগরিক ঘোষ, মানস ভুঁইয়ারা। সান্ত্বনা দেন স্বজনহারাদের। তৃণমূলের সাংসদরা পুঞ্চে গিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোয় আপ্লুত এলাকাবাসী। মন খুলে তাঁরাও নিজেদের সুবিধা-অসুবিধার কথা ভাগ করে নিয়েছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে। সীমান্তে বাঙ্কার থাকলেও গ্রামে যে কোনও বাঙ্কার নেই, পর্যাপ্ত চিকিৎসার সুবিধা নেই, এই সমস্ত কথাই তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে জানিয়েছেন তাঁরা।
প্রতিনিধিদলের সদস্য ডেরেক ও’ব্রায়েনের কথায়, পুঞ্চের হৃদয় ছুঁয়েছে তৃণমূল। প্রতিনিধিদলের সদস্য রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, “পুঞ্চের মানুষকে সহানুভূতি জানাতে এবং তাদের লড়াইকে কুর্নিশ জানাতেই আমরা এখানে এসেছি। এখানকার সরকার যাতে পুঞ্চের মানুষের জন্য কাজ করতে পারে তার জন্য তাদের পর্যাপ্ত সুযোগ পাওয়া উচিত।” পুঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ।
রাজনৈতিক মহলের মতে, সরাসরি না হলেও তৃণমূল যে ঘুরপথে জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাওয়ার দাবিকে সমর্থন করছে তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সুরে কথা বলেছেন প্রতিনিধি দলের আরেক সদস্য সাগরিকা ঘোষও। তিনি বলেন, “সীমান্ত এলাকায় মৃতদের পরিবারের জন্য সরকারের তরফে সবরকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ক্ষতিপূরণ দেওয়া, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর, স্কুল-কলেজের পুনর্নির্মাণ, বিপর্যস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো- সবেতেই মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরের সরকার। ওমর আবদুল্লার নির্বাচিত সরকারকে এই সবের জন্য পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া উচিত বলেই আমরা মনে করি।” শুক্রবার রাজৌরিতে গিয়েও প্রশাসনের
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.