প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের বিদ্যুতের খুচরো বাজার বেসরকারি সংস্থার জন্য খুলে দিতে চায় কেন্দ্র। এ বিষয়ে নতুন একটি বিল আনতে চলেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ধুঁকতে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির উপর থেকে হাত তুলে নিতে চাইছে সরকার। বদলে বেসরকারি সংস্থাকে বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্ব দিলে তাতে গ্রাহক এবং সংস্থা দুই পক্ষেরই সুবিধা হবে।
এই মুহূর্তে দেশের হাতেগোনা কয়েকটি এলাকা ছাড়া বেশিরভাগ এলাকাতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। রাজধানী দিল্লি সংলগ্ন এলাকা, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, গুজরাটের মতো রাজ্য বা কলকাতার মতো শহরে বেসরকারি সংস্থা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। বাকি দেশের বেশিরভাগ প্রান্তেই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এই সংস্থাগুলির বেশ কয়েকটি লোকসানে চলছে। অধিকাংশ সংস্থাই রুগণ। বহু ক্ষেত্রেই ঋণের বোঝা বইতে হচ্ছে সরকারকে।
এই সব এলাকায় বেসরকারি বিদ্যুৎ পরিষেবার রাস্তা খুলে দিতে পারে কেন্দ্র। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের দাবি অনুযায়ী বিদ্যুৎ মন্ত্রক নতুন যে বিলের খসড়া প্রস্তুত করেছে সেই খসড়া অনুযায়ী, সব এলাকায় বেসরকারি সংস্থা বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে। এবং একই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য একাধিক সংস্থা দরপত্র ডাকতে পারবে। বর্তমান আইনে এর সংস্থান ছিল না। সরকারের বক্তব্য, এর ফলে সস্তায় ভালো পরিষেবা দেওয়া নিয়ে সংস্থাগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা দেখা যাবে। আর তাতে লাভবান হবেন গ্রাহকেরা। অনেকে আবার বলছেন, নতুন এই আইন এলে গ্রাহকদের খরচ বাড়বে অনেকটা। উলটে লাভবান হবে আদানি, টাটা বা সিইএসসির মতো কর্পোরেট সংস্থাগুলি। তবে ওই খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সরকার যদি কোনও গ্রাহকের খরচের ভার লাঘব করতে চায়, সেক্ষেত্রে বিলের ভরতুকি বাবদ সরাসরি গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে টাকা দিতে পারবে।
আসলে যে কোনও সংস্থার ক্ষেত্রেই বেসরকারিকরণের ফলে খরচ বাড়ার একটা আশঙ্কা থাকে। আশঙ্কা থাকে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মীদের নিয়েও। এর আগে ২০২২ সালেও এই ধরনের বিল আনার চেষ্টা করেছিল মোদি সরকার। তবে সেবার রাষ্ট্রায়ত্ত কর্মীদের আপত্তিতে সেটা সম্ভব হয়নি। এবারও এই বিল পেশ হলে প্রবল বিরোধিতার সম্ভাবনা রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.