সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত সোমবার গাজার নাসের হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সেনা। এই হামলায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচ সাংবাদিক-সহ ২১ জনের। বুধবার এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করল ভারত। জানিয়ে দিল, এই ঘটনা ‘মর্মান্তিক এবং অত্যন্ত দুঃখজনক’।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, ”সাংবাদিকদের এই হত্যা মর্মান্তিক এবং অত্যন্ত দুঃখজনক। ভারত সব সময়ই সংঘাতে অসামরিক প্রাণহানির নিন্দা করেছে।” প্রসঙ্গত, রয়টার্স, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস, আল জাজিরা ও মিডল ইস্ট আই-এ কর্মরত পাঁচ সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে সোমবারের হামলায়। এছাড়াও অন্য আরেকটি ঘটনায় খান ইউনিসে প্রাণ হারিয়েছেন আরও এক সাংবাদিক।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইজরায়েলে হামাসের প্রাথমিক হামলার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জঙ্গি গোষ্ঠীর শক্ত ঘাঁটিগুলি ভেঙে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে। যদিও সেই প্রচেষ্টা চালাতে গিয়ে হাজার হাজার নিরীহ মানুষেরও মৃত্যু হয়েছে। এমনকী খোদ আইডিএফ বিবৃতি দিয়েছে, সাধারণ মানুষকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে হামাস।
এদিকে গাজা সংঘর্ষ থামাতে মরিয়া ইজরায়েলের সাধারণ মানুষও। ‘হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরাম’ নামের এক সংগঠন আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। যার জেরে গত ক’দিন ধরেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এর ফলে রাজধানী তেল আভিভ-সহ বহু শহরেই সৃষ্টি হয়েছে বিরাট যানজট। যা পরিস্থিতি, তাতে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলতে থাকা যুদ্ধে এবার ঘরেই কোণঠাসা প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। উল্লেখ্য, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, তিনি ৫০ জন পণবন্দিকে ফেরানোর জন্য আলোচনার নির্দেশ জারি করেছেন। অথচ গাজায় নতুন করে হামলা শুরু হয়েছে। নেতানিয়াহুর এই আচরণে বিক্ষোভকারীদের ধারণা তিনি শান্তি চুক্তিতে আদৌ আগ্রহী নন। বরং পণবন্দিদের বলি দিতেই চাইছেন তিনি। আর এখান থেকেই বিক্ষোভের সূত্রপাত। মনে করা হচ্ছে, হামাসের কাছে জীবিত পণবন্দির সংখ্যা প্রায় ২০।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.