সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুলভূষণ কাণ্ডের জের সহজে থামার নয়। যেভাবে প্রাক্তন নৌসেনার মা ও স্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে পাক মুলুকে, তা মোটেও ভাল চোখে দেখেনি ভারত। বিদেশমন্ত্রকের তরফে এ বিষয়ে কড়া বিবৃতি জারি করা হয়েছে। এদিকে এর মধ্যেই মিনি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পথে হেঁটেছে ভারত। সীমান্ত পেরিয়ে খতম করা হয়েছে তিন পাক সেনাকে। এই নিয়েই ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব ফের চরমে।
[ সুপ্রিম রায়ই সার, ফের ফোনে তিন তালাক বধূকে ]
সাম্প্রতিক অতীতে ভারত-পাক সম্পর্ক তলানিতেই এসে ঠেকেছিল। যতই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিনা আমন্ত্রণে নওয়াজ শরিফের জন্মদিনে গিয়ে অভিনন্দন জানিয়ে আসুন আর পাঠানকোট তদন্তে আএসআই-কে ডাকা হোক, সম্পর্কে কোনও উন্নতি হয়নি। সম্প্রীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বালুচিস্তান থেকে ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন অফিসারকে অপহরণ করে পাকিস্তান। প্রথমে বন্দিদশা। পরে মৃত্যুর সাজা। প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয় ভারত। সেখানে মুখ পোড়ে পাকিস্তানের। মৃত্যুদণ্ড রদ হয় কুলভূষণের। কিন্তু তারপরও তাঁকে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। দীর্ঘ টালবাহানা শেষে বাইশ মাস পরে অবশেষে সে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মানবিকতার নাম করে চূড়ান্ত অপমান করা হয় কুলভূষণের মা ও স্ত্রীকে। পোশাক বদল করিয়ে কুলভূষণের স্ত্রীর কপালের টিপ, হাতের শাঁখা এমনকী মঙ্গলসূত্রও খুলে রাখা হয়। কোনও এক অজ্ঞাত কারণে তাঁর জুতোটি নিয়ে নেওয়া হয়। বারবার চেয়েও ফেরত দেওয়া হয়নি।
Islamabad: Pakistani journalists heckle & harass ‘s mother & wife after their meeting with him, shout, ‘aapke patidev ne hazaron begunah Pakistaniyo ke khoon se Holi kheli ispar kya kahengi?’ & ‘aapke kya jazbaat hain apne kaatil bete se milne ke baad?’
— ANI (@ANI)
এদিকে পাক মিডিয়াও যারপরনাই হেনস্তা করে তাঁদের। কুলভূষণের স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করা হয়, ‘আপনার সন্ত্রাসবাদী স্বামী নির্দোষ ব্যক্তির জীবন নিয়ে রক্তের হোলি খেলেছে, এই নিয়ে আপনি কী বলবেন?’ একইরকম অপমানজনক প্রশ্ন করা হয় কুলভূষণের মাকেও। দেশে ফিরে তাঁরা বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে দেখা করেন। তখনই সামনে আসে অমানবিকতার একাধিক নিদর্শন। একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে দু’জনকে সঙ্গে নিয়ে কার্যত দিশাহীন পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনার জে পি সিং। কোনওরকম সহায়তা, সৌজন্য করা হয়নি। এ নিয়েই ক্ষোভ ভারতের। যদিও ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত আব্দুল বাসিত জানাচ্ছেন, ‘যাদব সন্ত্রাসে অভিযুক্ত। পাকিস্তানের দায় নেই তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করানোর। তবু মানবিকতার খাতিরে যে তা করানো হয়েছে, সেজন্য ভারতের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।’
[ খুলে নেওয়া হয়েছিল কুলভূষণের স্ত্রীর মঙ্গলসূত্র, ফেরত দেওয়া হয়নি জুতোও ]
ইতিমধ্যেই মিনি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছে ভারত। এলওসি টপকে তিন পাক সেনাকে খতম করে এসেছে। কুলভূষণ কাণ্ড এবং সাম্প্রতিক পাক সন্ত্রাসের বদলা নিতেই এই অভিযান। পাকিস্তান সন্ত্রাস চালালে ভারত যে চুপ করে বসে থাকবে না, তারই স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই ভারত পাক সম্পর্ক বিষিয়েছে আরও একবার। তবে যেহেতু মাঝে আছেন কুলভূষণ, তাই খানিকটা হলেও সাবধানী ভারত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.