Advertisement
Advertisement
US Tariff

মার্কিন শুল্কবোমা থেকে বাঁচতে তুরস্কের সাহায্য নেবে কেন্দ্র! নতুন পদক্ষেপের পথে মোদি সরকার

নতুন বাজারের সন্ধানে অন্তত ৪০টি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করবে ভারত।

India to reach out to new markets after huge tariff from US

প্রতীকী ছবি।

Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:August 27, 2025 9:30 pm
  • Updated:August 27, 2025 9:48 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার থেকে ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ মার্কিন শুল্ক কার্যকর হয়েছে। তার জেরেই বিরাট লোকসানের মুখে পড়তে চলেছে ভারতের দেশীয় বাজার। একাধিক পণ্যের বাজারে ক্ষতি হতে চলেছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে পণ্য রপ্তানির জন্য বিকল্প বাজারের খোঁজে নেমেছে ভারত। কেন্দ্র সরকার সূত্রে খবর, একাধিক দেশের বাজারে যেন ভারতীয় পণ্য রপ্তানি করা যায়, সেই রাস্তা খোঁজার চেষ্টা করছে বাণিজ্য মন্ত্রক।

Advertisement

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রকের এক কর্তা জানান, মূলত বস্ত্র এবং রত্ন রপ্তানির জন্যই বিকল্প বাজারের খোঁজ চলছে। নতুন বাজারের সন্ধানে অন্তত ৪০টি দেশে নিজেদের পণ্যের ভাণ্ডার তুলে ধরতে চলেছে বাণিজ্য মন্ত্রক। সেই তালিকায় রয়েছে ব্রিটেন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স, ইটালি, স্পেন, নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলি। এছাড়াও মেক্সিকো, পোল্যান্ড, রাশিয়ার মতো দেশগুলির বাজারকে যথেষ্ট সম্ভাবনাময় বলে মনে করছে ভারত। ভাবনাচিন্তা চলছে বেলজিয়াম, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলি নিয়েও।

প্রাথমিকভাবে এই দেশগুলির কাছে জানানো হবে, উন্নতমানের পণ্য বিশ্বস্তভাবে সরবরাহ করবে ভারত। মার্কিন শুল্কবোমায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে ভারতের বস্ত্রশিল্প, তাই বস্ত্র রপ্তানির জন্যই একাধিক দেশের কাছে দরবার করতে চলেছে বাণিজ্যমন্ত্রক। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই ৪০টি দেশের তালিকায় রয়েছে তুরস্ক। অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্যের অভিযোগ উঠেছিল তুরস্কের বিরুদ্ধে। তারপর একাধিক ভারতীয় বিমানবন্দরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা তুর্কি সংস্থার লাইসেন্সও বাতিল করা হয়। কিন্তু সেই তুরস্কের সঙ্গেই এবার ব্যবসা বাড়াতে আগ্রহী ভারত।

প্রসঙ্গত, শুল্ককোপে দেশের একাধিক বড় শহরে বস্ত্র উৎপাদন কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের সভাপতি এসসি রালহান বলেন, ”বিপুল পরিমাণ এই শুল্ক চাপানোর জেরে তিরুপুর, নয়ডা, সুরাটের বস্ত্র উৎপাদন সংস্থাগুলি তাদের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ অধিক শুল্কের জেরে ভিয়েতনাম, বাংলাদেশের মতো প্রতিযোগিদের তুলনায় অনেকখানি পিছিয়ে পড়েছে তারা।” তাই বস্ত্রশিল্পী এবং ব্যবসায়ীদের বাঁচাতে নতুন উপায় খুঁজছে কেন্দ্র।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ