Advertisement
Advertisement
Ahmedabad Plane Crash

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে সরাসরি যুক্ত হতে চায় রাষ্ট্রসংঘ! আপত্তি জানাল ভারত

সূত্রের খবর, ভারত সরকার কোনওভাবেই এই তদন্তে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চাইছে না।

India would not allow a UN investigator to join probe in Ahmedabad Plane Crash
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 27, 2025 1:44 pm
  • Updated:June 27, 2025 1:44 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে সরাসরি যুক্ত হতে চায় রাষ্ট্রসংঘ! আপত্তি জানাল ভারত। সূত্রের দাবি, রাষ্ট্রসংঘের অসামরিক বিমান সংক্রান্ত তদন্তকারী এজেন্সি ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশন আহমেদাবাদ দুর্ঘটনার তদন্তে নিজস্ব পর্যবেক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত সরকার।

সরকারি হিসাবে আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় মোট ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে বহু বিদেশি নাগরিকও ছিলেন। ভারতের তরফে ওই বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডিজিসিএ, এয়ারক্র্যাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB), ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (BCAS), এই তিন সংস্থা। এর সঙ্গে একাধিক বিদেশি সংস্থাও তদন্ত করতে চায় বলে খবর। সূত্রের খবর, গোটা তদন্ত প্রক্রিয়ায় নজরদারি চালাতে চায় ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশন। তারা নিজেদের প্রতিনিধি পাঠাতে চায় তদন্তের কাজে। কিন্তু ভারত সরকার অনুমতি দেয়নি।

সূত্রের খবর, ভারত সরকার কোনওভাবেই এই তদন্তে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চাইছে না। এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার এআই-১৭১ বিমানের ব্ল্যাক বক্সের তথ্যও বিদেশি কোনও এজেন্সির সঙ্গে শেয়ার করতে চায় না ভারত। বিশেষ করে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশনকে তদন্তে অনুমতি দিতে নারাজ নয়াদিল্লি। আসলে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশন সচরাচর বিতর্কিত এলাকায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে বা কোনও দেশের অসামরিক বিমানে সেনা হামলা চালিয়ে নামালে তবেই তদন্ত করে। তারা আহমেদাবাদের দুর্ঘটনায় তদন্তে আগ্রহী কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে নয়াদিল্লির।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক জানিয়েছে, ২৪ জুন, মঙ্গলবার বায়ুসেনার বিমানে উদ্ধার হওয়া দুটি ব্ল্যাক বক্স আহমেদাবাদ থেকে দিল্লিতে আনা হয়েছে। এএআইবির দপ্তরে মঙ্গলবার রাতেই ব্ল্যাক বক্স থেকে তথ্য উদ্ধারের কাজ শুরু করেন প্রযুক্তিবিদরা। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিমানের সামনের ব্ল্যাক বক্সের ক্র্যাশ প্রোটেকশন মডিউল (সিপিএম) উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার মেমরি মডিউল উদ্ধার করা হয়েছে ব্ল্যাক বক্স থেকে। সেই তথ্য এএআইবি গবেষণাগারে ডাউনলোড করা হয়েছে। সিভিআর এবং এফডিআরের তথ্য এখন পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। মনে করা হচ্ছে, সেই পরীক্ষা শেষ হলে জানা যাবে দুর্ঘটনার কারণ।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement