ফাইল ছবি
সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এক যাত্রী বিক্ষোভ সামাল দিতে গিয়ে যখন দূরপাল্লার এসি ট্রেনে কভার-সহ কম্বল দেওয়া শুরু করল ভারতীয় রেল, তখনই আইআরসিটিসি অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের কিছু বদলে টিকিট কাটতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা প্রিমিয়াম রেলের যাত্রীদের। হঠাৎ করেই আইআরসিটিসি-র অ্যাপ ও ওয়েবসাইট – দুই মাধ্যমের নির্ধারিত জায়গা থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে ‘নো ফুড’ অপশন। যার জেরে টিকিট কাটতে গিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।
ভারতীয় রেলের দূরপাল্লার এসি কামরায় যাত্রীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল, যে কম্বল তাঁদের দেওয়া হয়, তা নিয়মিত কাচা ও পরিষ্কার করা হয় না। এত টাকা খরচ করে টিকিট কাটা হলেও কেন পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখবে না রেল, এই প্রশ্ন দীর্ঘদিনের। যাত্রীদের সেই ক্ষোভ মেটাতে নতুন সিদ্ধান্ত নিল অশ্বিনী বৈষ্ণবের মন্ত্রক। ইতিমধ্যেই পাইলট প্রকল্প চালু করেছেন রেলমন্ত্রী নিজে। তা সফল হলে আগামী দিনে দেশের বিভিন্ন দূরপাল্লার জনপ্রিয় ট্রেনেও চালু করা হবে কভার-সহ কম্বল।
একদিকে যখন রেলের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন দেশের সাধারণ যাত্রীরা, তখন এর দ্বিগুণ গতিতে ধেয়ে আসছে গালমন্দও। হঠাৎ করেই আইআরসিটিসি-র অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ‘নো ফুড’ অপশন। জানা গেল অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। যার জেরে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
দিনে দিনে রাজধানী, শতাব্দী, দুরন্ত এক্সপ্রেসের মতো এলিট ট্রেনগুলির খাবারের মান পড়তে থাকায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এই ট্রেনগুলির যাত্রীরা। অনেকেই দাবি তুলতে থাকেন, গাঁটের কড়ি খসিয়ে নিম্নমানের ওই খাওয়ার খেতে চান না তাঁরা। এই কারণে ২০১৭ সাল থেকে টিকিট কাটার সময় চালু হয় খাবার না নেওয়ার নো ফুড বিকল্প। এতদিন টিকিট কাটার সময় আমিষ, নিরামিষ খাওয়ারের বিকল্প বাছাই করার পাশাপাশি কেউ চাইলে এই ‘নো ফুড’ অপশনে গিয়েও টিকিট কাটতে পারতেন। সম্প্রতি আবার তাতে জুড়েছিল জৈন, ডায়াবেটিকদের জন্য বিশেষ খাবারের বিকল্পও। হঠাৎ করেই খাওয়ার বাছাইয়ের এই তালিকা থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে নো ফুড বিকল্প।
আইআরসিটিসি-র এজিএম হসপিটালিটি বীরেন্দর ভাট্টি জানালেন, “অপশনটা আছে, শুধু ওর জায়গা পরিবর্তন হয়েছে।” তাঁর নির্দেশ মেনে খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল, বেশ কিছুটা নিচে, যেখানে অন্যান্য কিছু বিকল্প বেছে নেওয়ার জায়গা থাকে, অর্থাৎ টিকিটের অটো আপগ্রেডেশন, শুধু কনফার্ম আসন পেলেই টিকিট বুক করা অপশন থাকে, সেখানে খুদে করে রয়েছে খাবার না নেওয়ার বিকল্প। এখানেও অবশ্য আছে আরেক বিপত্তি। এতদিন একই পিএনআর-এর আলাদা যাত্রীদের কেউ চাইলে খাবার নিতে পারতেন, কেউ চাইলে না নিতে পারতেন। এখন সেই বিকল্প নেই। হয় সবাইকেই খাবার নিতে হবে, না হলে কেউই খাবার পাবেন না। এত বড় পরিবর্তনে সাধারণ মানুষের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.