সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar Resigns)। যদিও তাঁর হঠাৎ ইস্তফায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। এরইমাঝে জল্পনা শুরু হয়েছে, কে বসবেন দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে। তালিকায় উঠে আসছে একাধিক নাম। যার মধ্যে সর্বাগ্রে রয়েছে নীতীশ ঘনিষ্ঠ জেডিইউ-র নেতা হরিবংশ নারায়ণ সিং। যিনি বর্তমানে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান। আপাতত তাঁকেই উপরাষ্ট্রপতির দায়িত্বে এনে বিহারে ভোট বৈতরণী পার করতে আগ্রাহী মোদির বিজেপি সরকার।
দেশের সংবিধান অনুযায়ী, উপরাষ্ট্রপতি পদ ফাঁকা হলে ৬ মাসের মধ্যে সরকারকে এই পদে নির্বাচন করাতে হয়। নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত যিনি ডেপুটি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন তাঁকেই উপরাষ্ট্রপতি ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামাল দিতে হয়। ফলে নির্বাচন না হলে আগামী ৬ মাস হরিবংশকেই সামলাতে হবে সব দায়িত্ব। যদিও তার আগেই পাকাপাকিভাবে উপরাষ্ট্রপতি পদে বসান হতে পারে নীতীশ ঘনিষ্ঠ এই জেডিইউ নেতাকে। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, চলতি বছরের শেষেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বিহারকে খুশি করতে নীতীশের প্রিয়পাত্র হরিবংশের ঝুলিতে যেতে পারে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদ।
যদিও একা হরিবংশ নন, সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছে আরও একাধিক নাম। রাজনৈতিক শিবিরের জল্পনা রাজনাথ সিংকে দেওয়া হতে পারে এই পদ। কারণ আরএসএসের তরফে ৭৫ বছরে অবসরের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পর পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসেবে রাজনাথ সিং-এর নাম উঠে আসতে শুরু করেছে। তাই তাঁকে উপরাষ্ট্রপতি পদে বসিয়ে নরেন্দ্র মোদির পথের কাঁটা সরানো হতে পারে। তালিকায় উঠে আসছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নামও। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে তাঁকে সরাসরি উপরাষ্ট্রপতি পদে এনে, বিহারে বিজেপির মুখ বসাতে তৎপর গেরুয়া শিবির। সোশাল মিডিয়ায় এই আকাশ কুসুম জল্পনায় উঠে আসছে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের নামও। এই পদের জন্য তাঁকে অন্যতম যোগ্য হিসেবে মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বারবার মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে শশীকে। জল্পনা ছড়িয়েছে হয়ত বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে খাতায় কলমে কংগ্রেস সাংসদ শশীকে এই পদে বসিয়ে গণতান্ত্রিক হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে বেনজির পদক্ষেপ নিতে পারে মোদির সরকার।
কীভাবে নির্বাচিত হন উপরাষ্ট্রপতি?
সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শুধুমাত্র লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদরা অংশগ্রহণ করেন। মনোনীত সদস্যরাও এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তবে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লোকসভা এবং রাজ্যসভার সদস্যদের পাশাপাশি ভোট দেওয়ার অধিকার পান বিধানসভার বিধায়করাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.