ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারে বাজছে ভোটের দামামা। তুঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলির তৎপরতা। জাতপাতের অঙ্ক থেকে শুরু করে মেরুকরণের কায়দা, প্রতিপক্ষকে কুপোকাৎ করতে নীল নকশা তৈরি করছে সব দলই। এবারের নির্বাচনে বিশেষভাবে নজর থাকছে পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ নীতীশ কুমারের উপর। ভোটকুশলী একাংশের মতে জেডিইউ প্রধান অস্তাচলে। এটাই হয়তো তাঁর শেষ লড়াই। কিন্তু, বাস্তব কী বলছে? আবারও মসনদে ফিরতে কোন অঙ্কে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন নীতীশ?
কে কোন আসনে লড়বে? ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে জেডিইউ। তবে, বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে ১০১টি আসনে প্রার্থী দিলেও লড়াই যে সহজ হবে না, তা জানেন নীতীশ। তাই ব্যালট বাক্সের অভিমুখ ফেরাতে জাতপাতের মানসাঙ্কের পাশাপাশি ‘মাইনরিট ফ্যাক্টর’কে কাজে লাগিয়েছেন জেপির শিষ্য।
এই ৪৪ জনের তালিকায় মাত্র চারজন প্রার্থী রয়েছেন যাঁরা মুসলিম। এই সংখ্যাই চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে রাজনৈতিক মহলে। শেষ নির্বাচনে ১০ জন মুসলিম প্রার্থী ছিলেন জেডিইউর তালিকায়। এবার সেই সংখ্যা কমে হয়েছে চার। অন্যদিকে, বিজেপি-র ২০২৫ সালের প্রার্থী তালিকায় নেই একটিও মুসলিম নাম।
চৈনপুর, আমউর, জোকিহাট এবং আরারিয়া আসন থেকে সংখ্যালঘু প্রার্থীদের মনোনয়ন দিয়েছে জেডিইউ। চৈনপুর থেকে লড়ছেন জেডিইউর জামা খান। আমউর থেকে লড়বেন সাবা জাফর, জোকিহাট থেকে মঞ্জর আলম এবং আরারিয়া থেকে লড়ছেন শাগুপ্তা আজিম। এরমধ্যে চৈনপুর বাদে বাকি তিনটি আসন রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল সীমাঞ্চল এলাকায় অবস্থিত। রাজ্যের ১৭ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যার একটি বড় অংশের বসবাস এই সীমাঞ্চলে। ২০২০ সালের নির্বাচনে চৈনপুর দখল করে বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)। অন্যদিকে, কংগ্রেসের দখলে ছিল আরারিয়া। ওয়েইসির মিম জেতে আমউর এবং জোকিহাট আসন।
নিজেদের প্রার্থী তালিকায় চার মুসলিম মুখের পাশাপাশি, বিহারের নির্বাচনী রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ জাতি সমীকরণের উপর জোর দিয়েছে জেডিইউ। ম্যারাথন সভা এবং একাধিক আলোচনার পর, বুধবার প্রথম ৫৭ জনের তালিকা ঘোষণা করা হয়। নীতীশের প্রার্থী তালিকায়, অনগ্রসর শ্রেণি থেকে ৩৭ জন এবং অতি অনগ্রসর শ্রেণি থেকে ২২ জন রয়েছে। পাশাপাশি, সাধারণ শ্রেণির ২২ জন প্রার্থীকে টিকিট দিয়েছে নীতীশের দল। তফসিলি জাতি থেকে পনেরো জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে এবং তফসিলি উপজাতি থেকে রয়েছেন একজন। জেডিইউর তালিকায় ১৩ জন মহিলা প্রার্থী রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত রবিবারই বিহারে আসনরফা চূড়ান্ত করেছে এনডিএ। আসন বণ্টনের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দাবিকে খারিজ করেছে গেরুয়া শিবির। নীতীশ বিজেপির চেয়ে একটি হলেও বেশি আসনে লড়াই করার দাবি করেছিলেন। দুই দলই ১০১টি করে আসনে প্রার্থী দেবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি পাবে ২৯টি আসন। এছাড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতনরাম মাঝির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা ৬টি আসনে। একই সংখ্যক আসনে প্রার্থী দেবে রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.