সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহার ভোটের মাস পাঁচেক আগেই আসন সমঝোতা কার্যত চূড়ান্ত করে ফেলল এনডিএ। জোট বাঁচানোর স্বার্থে এবারেও বিহারে ছোট শরিক হতে রাজি হয়ে গেল বিজেপি। শোনা যাচ্ছে, এনডিএ-তে সবচেয়ে বেশি আসনে লড়বে জেডিইউ। বিজেপি সামান্য হলেও কম আসনে লড়বে নীতীশের দলের থেকে। দাবি মতো আসন পাচ্ছে চিরাগ পাসওয়ানের দলও।
২০২০ সালের বিধানসভা ভোটে বিহারে এনডিএ শিবিরে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছিল ৭৪টি। জেডিইউ পেয়েছিল ৪৩টি। অর্থাৎ জেডিইউয়ের চেয়ে অনেকটাই বেশি আসন পায় গেরুয়া শিবির। তা সত্ত্বেও জোটের স্বার্থে নীতীশকেই মুখ্যমন্ত্রী করে বিজেপি। কিন্তু ২০২৫-এ নীতীশ জোটে থাকবেন কিনা, সেটা নিয়ে নিশ্চিন্ত হতে পারছে না বিজেপি। সম্ভবত সে কারণেই তুলনায় ‘দুর্বল’ জেডিইউকে প্রতীকীভাবে হলেও নিজেদের থেকে বেশি আসন ছাড়তে চলেছে গেরুয়া শিবির।
প্রাথমিকভাবে যে আসনরফার ফর্মুলা পাওয়া যাচ্ছে তাতে জেডিইউ ১০২-১০৩ আসনে লড়তে পারে। বিজেপি লড়তে পারে ১০১-১০২ আসনে। বাকি ৪০ আসন ভাগাভাগি হবে চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি, জিতন রাম মাঝির হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা, এবং উপেন্দ্র কুশওয়ার আরএলএমের মধ্যে। এর মধ্যে ২৫ থেকে ২৮ আসন পেতে পারে চিরাগের দল। অর্থাৎ নীতীশকে বেশি আসন ছাড়তে গিয়ে চিরাগকেও অসন্তুষ্ট করতে চাইছে না গেরুয়া শিবির। বাকি আসনগুলি পাবে ছোট শরিকরা। যদিও এই আসনরফা একেবারেই চূড়ান্ত না। এখনও বহু আলোচনা বাকি। তবে শোনা যাচ্ছে, প্রাথমিকভাবে বিজেপি এই আসনরফা ধরেই এগোচ্ছে।
বিহারে এই মুহূর্তে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে সরকার চালাচ্ছে এনডিএ। বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে জেডিইউয়ের থেকে অনেক শক্তিশালী বিজেপি (BJP)। তা সত্ত্বেও নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রী রাখা হয়েছে জোটের স্বার্থে। বিহার বিজেপির দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, আসন্ন নির্বাচনে আর নীতীশকে মুখ না করে বিজেপির কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করা হোক। বা আগে থেকে মুখ ঘোষণা না করে ভোটের পর আসনের ভিত্তিতে ঠিক করা হোক কে মুখ্যমন্ত্রী হবে। কিন্তু লোকসভায় বিজেপির খারাপ ফল হওয়ায় গেরুয়া শিবির এখন নীতীশ নির্ভর। তাই তাঁকে খুশি রাখতে বাধ্য হচ্ছে বিজেপি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.