Advertisement
Advertisement
Sanjeev Sanyal

‘ভারতের উন্নতির পথের কাঁটা বিচারব্যবস্থা’, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শদাতার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি

আদালতের ছুটির বিরুদ্ধেও সরব হয়েছিলেন ওই আধিকারিক।

Judiciary biggest hurdle to Viksit Bharat, controvercy on Sanjeev Sanyal’s comments

সঞ্জীব সান্যালের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি।

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:September 27, 2025 9:40 pm
  • Updated:September 27, 2025 9:40 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের বিচারব্যবস্থাকে উদ্দেশ্য করে বিতর্কিত মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক পরামর্শদাতা পরিষদের সদস্যের। শীর্ষ আধিকারিক সঞ্জীব সান্যালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি শুরু করল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রোহিত পাণ্ডে এবং উজ্জ্বল গৌর। মামলা দায়েরের উদ্দেশে ইতিমধ্যেই অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামানির কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

জানা যাচ্ছে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ‘জেনারেল কাউন্সেলস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া’র এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন সঞ্জীব সান্যাল। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, বিকশিত ভারত হয়ে উঠতে আমাদের হাতে এখনও ২০-২৫ বছর সময় রয়েছে। এরপরই তিনি জানান, স্বাধীনতার ১০০ বছরে ভারতকে ‘উন্নত জাতি’ হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন রয়েছে বিজেপি সরকারের। সেই উচ্চাভিলাষের পথে ‘সবচেয়ে বড় বাধা’ ভারতের বিচার ব্যবস্থা। শুধু তাই নয়, আদালতের ছুটির বিষয়ও উঠে আসে তাঁর মন্তব্যে। সান্যাল বলেন, “যে কোনও বিভাগের মতো দেশের বিচার ব্যবস্থাও জনসেবায় নিয়োজিত। যদি ডাক্তাররা গ্রীষ্মকালীন ছুটি, দশেরা, শীতকালীন ছুটিতে হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাহলে কি তা গ্রহণযোগ্য হবে? আদালতের জন্য কেন তা গ্রহণযোগ্য?” বলার অপেক্ষা রাখে না প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক পরামর্শদাতা পরিষদের সদস্যের এহেন মন্তব্যে বিতর্ক চরম আকার নেয়।

সান্যালের এহেন মন্তব্যের পালটা তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়েরের উদ্যোগ নেন দুই আইনজীবী রোহিত পাণ্ডে এবং উজ্জ্বল গৌর। প্রথম জন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সচিব এবং দ্বিতীয় জন ওই সংগঠনের সদস্য। তবে ১৯৭১ সালের আদালত অবমাননা আইনের ১৫ ধারা অনুযায়ী, কোনও সরকারি পদাধিকারীর বিরুদ্ধে অবমাননার মামলা শুরু করার আগে অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতি প্রয়োজন। সেইমতো অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামানির কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

২৫ সেপ্টেম্বর লেখা এই চিঠিতে দুই বিচারপতির অভিযোগ, বিচার বিভাগের সাংবিধানিক ভূমিকা এবং আইনজীবীদের পেশাগত দায়িত্বকে ছোট করেছেন ওই আধিকারিক। তাঁর বক্তব্য যেভাবে দেশের বিচারব্যবস্থাকে উপহাস করেছে অবিলম্বে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেওয়া হলে, দেশবাসীর শেষ আস্থার প্রতিষ্ঠান দুর্বল হিসেবে গণ্য হবে। সান্যালের এহেন মন্তব্যকে ‘উদ্বেগজনক’ ও ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন শীর্ষ আদালতের দুই আইনজীবী।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ