সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। বাবাকে দেখেই জেলের ভিতর কন্নায় ভেঙে পড়লেন গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া জ্যোতি মালহোত্রা। সোমবার ন’দিনের পুলিশ রিমান্ড শেষ হওয়ার পর ইউটিউবারকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে তাঁর ঠাঁই হয়েছে হরিয়ানার হিসার সেন্ট্রাল জেলে। এদিনই জ্যোতির সঙ্গে দেখা করতে আসেন তাঁর বাবা হরিশ মালহোত্রা। হরিশকে দেখেই কান্নায় লুটিয়ে পড়েন জ্যোতি। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হরিশ বলেন, “মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সে বারবার দাবি করেছে সে নির্দোষ। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। আর কোনও কথা সে বলেনি।”
ঘটনাচক্রে মঙ্গলবারই জ্যোতির বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। সূত্রের খবর, দানিশ ছাড়াও ইউটিউবারের সঙ্গে যোগযোগ ছিল আরও তিন আইএসআই এজেন্টের! জ্যোতির ল্যাপটপ পরীক্ষার পরই তা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তবে তাঁদের মাধ্যমে ইউটিউবার ভারতের কী কী গোপন তথ্য পাকিস্তানে পাচার করেছেন, সেগুলিই এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন জ্যোতি। ২০২৩ সালে, ভারতে পাক দূতাবাস কর্মী এহসান উর রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে জো-র (এই নামেই নিজেরকে পরিচয় দেন জ্যোতি) আলাপ। ক্রমে ঘনিষ্ঠতা। এই দানিশকে ইতিমধ্যেই পাক দূতাবাসে থেকে বের করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। তাকে ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ অর্থাৎ অবাঞ্ছিত ব্যক্তি বলে বিতাড়িত করেছে ভারত সরকার।
দানিশ সম্পর্কে তদন্ত করতে গিয়েই প্রথমে জ্যোতির নাম পান তদন্তকারীরা। এই দানিশেরই ‘বিশেষ আমন্ত্রণে’ গত বছর পাক দূতাবাসে ইফতার পার্টিতে যায় জ্যোতি। এবং পুরো বিষয়টির ভিডিও করে সে। সেই ভিডিওটি দেখেই সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের। এছাড়াও সম্প্রতি সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হরিয়ানার জ্যোতি-সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁদের পাক যোগের একাধিক তথ্য তদন্তকারীদের হাতে এসেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.