সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের চিফ হুইপ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দলের সাংসদদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠকে বসেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, লোকসভায় দলের সমন্বয় নিয়ে খানিকটা অখুশি নেত্রী। তবে রাজ্যসভায় দলীয় কাজকর্ম নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। আর এখানেই অভিমানী হয়ে ওঠেন চিফ হুইপ কল্য়াণ বন্দ্য়োপাধ্যায়। বলেন, ”যদি সমন্বয়ে সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে আমার থাকার দরকার কী?”
সোমবার দুপুরে দিল্লিতে তৃণমূলের সাংসদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সেখানেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে লোকসভার দলনেতা করার সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। সূত্রের খবর, লোকসভায় তৃণমূলের ভূমিকা নিয়ে যে খুব একটা খুশি নন, তা-ও জানান দলনেত্রী। এই বৈঠকের পরই চিফ হুইপ পদ থেকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত নেন কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমি চিফ হুইপ ছিলাম। যদি সমন্বয়ে সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে আমার থাকার দরকার কী? আমি ইস্তফা দিচ্ছি। কেউ লোকসভায় আসবেন না, দায় আমাকে নিতে হবে? কাকলিকে বলেছি, আমাকে পিছনের দিকে বসতে দিও।” এরপর মহুয়া মৈত্রকে বিঁধে তিনি বলেন, “দিদি বলছেন, আমি ঝগড়া করছি কেন? কেউ আমাকে গালাগাল করলে আমি চুপ করে থাকব?” সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায়কেও নিশানা করেন তিনি। বলেন, “কলকাতা দক্ষিণের তৃণমূল সাংসদ লোকসভায় আসেন না। কেউ থিয়েটার করেন, কেউ নাটক করছেন। সব দায় আমার একার!”
ইস্তফার পর ‘প্রতিপক্ষ’ কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে আবারও একহাত নেন কল্য়াণ। বলেন, “ইংরেজি বলা সুন্দরী বলা মহিলা হলেই যদি পার্টিতে দাম থাকে, তাহলে থাকবে। আমি তো বলেইছিলাম দিন খারাপ যাবে।” প্রসঙ্গক্রমে আজ সকালে দিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ের সামনে মুখোমুখি হন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মহুয়া মৈত্র। তারপরই ক্যামেরার সামনে শ্রীরামপুরের সাংসদের বাক্যবাণ ছিল, ‘দিনটাই খারাপ যাবে।’ বেলা গড়াতে কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, অনুমান খুব একটা ভুল হয়নি। দলের চিফ হুইপ পদ থেকে ইস্তফা দেন কল্য়াণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.