Advertisement
Advertisement
কমলনাথ

টার্গেট বিজেপির ৬ বিধায়ক! মধ্যপ্রদেশে সরকার বাঁচানো নিয়ে ‘আত্মবিশ্বাসী’ কমল নাথ

কমলনাথের ভয়, রাতারাতি বিধায়কদের ভোপাল থেকে সরিয়ে ফেলল বিজেপি।

Kamal Nath said he was confident that his government will not collapse
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:March 11, 2020 8:40 am
  • Updated:March 11, 2020 10:01 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অঙ্ক খুব জটিল। একের পর এক বিধায়ক হাত ছাড়ছেন। তবু, আশা ছাড়ছেন না মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ(Kamal Nath)। তাঁর দাবি, যেভাবেই হোক মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকার তিনি বাঁচাবেনই। রাজনীতির ময়দানে পোড়খাওয়া এই দাবি একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাঁর ধূর্ত মস্তিষ্ক এরপর কী চাল দেয়, তা নিয়ে চিন্তিত বিজেপিও। কিন্তু, কোন অঙ্কে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এই দাবি করছেন? তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।

Advertisement

Scindhia
তবে, সূত্রের খবর ডুবন্ত নৌকা বাঁচাতে কমলনাথের ভরসা তাঁর পরিচিত কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক। তাঁদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শোনা যাচ্ছে, বিজেপির অন্তত ৬ জন বিধায়কের সঙ্গে নাকি তাঁর যোগাযোগ হয়েছে। এঁর মধ্যে দু’জন আগেও কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন। এর আগে বিধানসভায় নিজের দলের বিরুদ্ধে গিয়ে এই দুই বিধায়ক কংগ্রেস সরকারের আনা বিলকে সমর্থন করেছেন। এমনকী, কংগ্রেসের ৮ বিধায়ক যখন নিখোঁজ হলেন, তখনও এঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। সূত্রের খবর, কমল নাথ এই দুই বিধায়কের পাশাপাশি এঁদের মাধ্যমে আরও চারজন বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। দল ভাঙার আশঙ্কায় সতর্ক হয়ে গিয়েছে বিজেপিও। ইতিমধ্যেই তাঁদের দলের সব বিধায়ককে অজ্ঞাত কোনও স্থানে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। গতকাল রাতেই তাঁদের ভোপাল থেকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, হরিয়ানার গুরগাঁওয়ের কোনও একটি হোটেলে আছেন তাঁরা।

[আরও পড়ুন: ‘পদবী ছাড়া কিছুই নেই’, জ্যোতিরাদিত্য ইস্যুতে বিজেপিকে কটাক্ষ প্রশান্ত কিশোরের]

যদিও, কংগ্রেস বিজেপি বিধায়কদের ভাঙানোর তত্ত্ব অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। তাঁদের দাবি, যে বিধায়করা সিন্ধিয়ার কথা শুনে কর্ণাটকে গিয়েছেন, তাঁদের ভুল বোঝানো হয়েছিল। সিন্ধিয়া তাঁদের বোঝান, শুধু রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার দাবি জোরাল করতেই বিধায়কদের একত্রিত করছেন তিনি। ভুল বুঝিয়ে এভাবে তিনি কংগ্রেস ত্যাগ করবেন তা জানতেন না বিধায়করা। ওঁদের মধ্যে অনেকেই দলে ফিরে আসতে চাইছেন।

kamal-nath

[আরও পড়ুন: ‘ঘর ওয়াপসি’, জ্যোতিরাদিত্যের বিজেপিতে যোগের সম্ভাবনায় মন্তব্য পিসি যশোধরার]

উল্লেখ্য, সিন্ধিয়া(Jyotiraditya Scindia) দল ছাড়ার পর ইতিমধ্যেই ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক বিধানসভার স্পিকার এবং রাজ্যপালের কাছে নিজেদের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, স্পিকার এঁদের ইস্তফায় সম্মতি দিলে রাজ্যপাল তা গ্রহণ করতে পারেন। এখানেই আশা দেখছে কমলনাথ শিবির। কারণ, ইস্তফাপত্র গ্রহণ করার আগে স্পিকার চাইলে সব বিধায়কদের শশরীরে হাজির থাকার নির্দেশ দিতে পারেন। কংগ্রেসের আশা, এঁরা বিধানসভায় এলেই বুঝিয়ে-শুনিয়ে ফিরিয়ে আনা যাবে। এই ২২ জন বিধায়কের ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়ে গেলে অবশ্য কংগ্রেসের কাছে কোনও উপায় থাকবে না। কারণ সেক্ষেত্রে, মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার মোট আসন নেমে আসবে ২০৮-এ। এবং সেক্ষেত্রে ম্যাজিক ফিগার নেমে আসবে ১০৫-এ। আর বিজেপির কাছে শুধু নিজেদেরই ১০৭ জন বিধায়ক আছে। অন্যদিকে কংগ্রেস এবং জোটসঙ্গীদের কাছে আছে ৯৮ জন বিধায়ক। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি ভাঙাতে না পারলে মধ্যপ্রদেশে সরকার বাঁচার কোনও আশা নেই।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement