সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশ ও দেশ রক্ষার্থে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা। সেই শহিদদের স্মৃতিতেই কানওয়ার যাত্রায় ৩৬১ ফুট তেরঙ্গা নিয়ে হাঁটলেন ৩৫ জন তীর্থযাত্রী। দিল্লি থেকে দেরাদুন যাওয়ার রাস্তাতেই দেখা গেল সেই দীর্ঘ তেরঙ্গা। এহেন ব্যতিক্রমী তীর্থযাত্রা দেখতে রাস্তার দু’ধারে ভিড় করলেন কয়েক হাজার মানুষ। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের বুলন্দ শহরের কেশপুর এলাকার।
জানা গিয়েছে, শিবরাত্রি উপলক্ষে প্রতি বছর গঙ্গাতে শোভাযাত্রা করে জল নিতে যান তীর্থযাত্রীরা। উদ্দেশ্য একটাই গ্রামের মন্দিরে শিবরাত্রির দিন বয়ে নিয়ে আসা গঙ্গাজলই ব্যবহার হবে। ওইদিনই শিবঠাকুরের মাথায় ঢালা হবে সেই পবিত্র গঙ্গাজল। উত্তর ভারতের মানুষের কাছে তাই কানওয়ার যাত্রার একটা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। বছরে একবারই গোমুখ-গঙ্গোত্রী ধাম ও হরিদ্বারের গঙ্গা থেকে এই জল সংগ্রহ করেন পুণ্যার্থীরা। বাড়ি থেকে গঙ্গা অভিমুখে যাত্রাপথটিকেই বলা হয় কানওয়ার যাত্রা। এবারের কানওয়ার যাত্রায় ভিন্ন কিছু হোক। এমনটাই পরিকল্পনা করেছিলেন কেশপুরের জনা ৩৫ যুবক। সেই মতো গোটা যাত্রাপথেই ৩৬১ ফুট তেরঙ্গা নিয়ে হাঁটলেন এই তীর্থযাত্রীরা।
হরিদ্বারের গঙ্গার হর কি পৌরি ঘাট থেকে বাঁকে জল ভরে ফের বাড়ির পথে যাত্রা। চলতি মাসের ন’তারিখেই শিবরাত্রি। ওদিন এই জল ভগবান শিবের মাথায় ঢালবেন তীর্থযাত্রীরা। ইতিমধ্যেই জল ভরার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাড়ির দীর্ঘ তেরঙ্গা নিয়ে বাড়ি অভিমুখে যাত্রাও শুরু করেছেন যুবকের দল। দীর্ঘ তেরঙ্গা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তাঁদের মধ্যে নরেন্দ্র সাইনি ও মুলচন্দ রাজপুত বলেন, ‘দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে বিদেশী শত্রুদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লড়াই করে শহিদ হয়েছেন দেশের সেনাকর্মীরা। তাঁদের জন্য আমরা গর্বিত। একইভাবে আমরা দেশকে ভালবাসি, ভালবাসি তেরঙ্গাকে। সেই সব শহিদদের স্মৃতিতে সম্মান জানাতেই এই তেরঙ্গা-সহ যাত্রা।’
উল্লেখ্য, কানাওয়ার যাত্রার জন্য মুখিয়ে থাকেন ধর্মপ্রাণ দেশবাসী। প্রতিবছর এই সময় প্রায় ৫০ লক্ষ পুণ্যার্থী কানওয়ার যাত্রায় শামিল হন। পায়ে হেঁটেই শোভাযাত্রা চলে গোমুখ-গঙ্গোত্রী ধাম পর্যন্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.