Advertisement
Advertisement
Kargil Vijay Diwas

‘সেনাদের শৌর্যবীর্যের ইতিহাস মনে করায় কারগিল বিজয় দিবস’, শহিদদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মোদি-মুর্মুর

১৯৯৯ সালে লাদাখের কারগিল জেলা দখল করেছিল পাকিস্তানি সেনা।

Kargil Vijay Diwas: President Murmu, PM Modi lead nation to pay tributes to martyrs
Published by: Subhodeep Mullick
  • Posted:July 26, 2025 1:11 pm
  • Updated:July 26, 2025 2:02 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ ২৬ জুলাই। দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে কারগিল বিজয় দিবস। ১৯৯৯ সালে রীতিমতো পরিকল্পনা করে লাদাখের কারগিল জেলা দখল করেছিল পাকিস্তানি সেনা। এরপরই শুরু হয় লড়াই। যা রূপ নেয় ঐতিহাসিক কারগিল যুদ্ধের। অবশেষে ২৬ জুলাই আসে সেই ঐতিহাসিক দিন। পাক সেনাকে পরাস্ত করে ভারত। তারপর থেকে প্রতি বছর এই দিনটিকে বিজয় দিবস হিসাবে পালন করা হয়। বিশেষ এই দিনে যুদ্ধে শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

Advertisement

সোমবার প্রধানমন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘ভারতীয় সেনার শৌর্যবীর্যের ইতিহাস মনে করায় কারগিল বিজয় দিবস। মাতৃভূমির জন্য তাদের আত্মত্যাগের চেতনা প্রতিটি প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।’ অন্যদিকে, রাষ্ট্রপতি মুর্মু লেখেন, ‘মাতৃভূমির জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর জওয়ানদের আমি শ্রদ্ধা জানাই। এই দিনটি আমাদের সেনার বীরত্ব, সাহস এবং দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। তাদের আত্মত্যাগ দেশবাসীকে চিরকাল অনুপ্রাণিত করবে। জয় হিন্দ! জয় ভারত!‘ শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘কারগিল বিজয় দিবসে শহিদ জওয়ানদের আমি শ্রদ্ধা জানাই। তাঁদের আত্মত্যাগ দেশবাসী সারা জীবন মনে রাখবে।’

প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালের ১৩ মে থেকে ২৬ জুলাই, অর্থাৎ দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে চলে কারগিল যুদ্ধ। পাকিস্তানের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী যুদ্ধে তাদের ৪০০ জন সেনা নিহত হন। আহতের সংখ্যা ৬৬৫। ৮ জন সেনা যুদ্ধবন্দি হন। অপরপক্ষে ভারতের ৫২৭ জন সেনা শহিদ হয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন ১,৩৬৩ জন। যুদ্ধবন্দির সংখ্যা ৫। অথচ ওই বছরের শুরুতেই বহুদিন পরে ভারত-পাক সম্পর্ক ভিন্ন মাত্রা পেয়েছিল। দিল্লি থেকে লাহোর পর্যন্ত ‘সদা-এ-সরহদ’ বাস পরিষেবা চালু হয়েছিল। ওয়াঘা-আট্টারি সীমান্ত দিয়েও চলাচল করত সেই বাস। এমনকী কারগিল যুদ্ধের সময়েও চালু ছিল বাস পরিষেবা। ওই বাসে চেপে লাহোর গিয়েছিলেন তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। উদ্দেশ্য ছিল, দুই দেশের মধ্যে শান্তিস্থাপন। সেই সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নওয়াজ শরিফ। যদিও তৎকালীন উচ্চাকাঙ্খী পাক সেনপ্রধান পারভেজ মুশারফ ভেস্তে দেন যাবতীয় শান্তি প্রক্রিয়া।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ