সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্যা কবলিত গ্রামে অ্যাম্বুল্যান্সকে পথ দেখিয়েছিল বছর বারোর ভেঙ্কটেশ। তার উপস্থিত বুদ্ধির জেরে প্রাণে বেঁচেছিল তিন খুদের। সেইসময় তার সাহস ও বুদ্ধির তারিফ করেছিল গোটা দেশ। এবার কর্ণাটকের সেই খুদেকে কুর্নিশ জানাতে চলেছে গোটা দেশ। দেশের ৭১তম সাধারণতন্ত্র দিবসেই ভেঙ্কটেশের হাতে জাতীয় সাহসিকতার পুরস্কার তুলে দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল কর্ণাটকের ২২টি জেলা। তার মধ্যে ছিল রাইচূড় এলাকাও। সেখানে এক মহিলা তাঁর তিন সন্তানকে নিয়ে বাস করতেন৷ জলবন্দি অবস্থাতে মারা গিয়েছিলেন ওই মহিলা৷ তাঁর তিন সন্তানও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিল৷ এ খবর পাওয়া মাত্র অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে যায়৷ নিহত মহিলা এবং তাঁর তিন সন্তানকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা৷ কিন্তু কোনটা সেতু আর কোনটা নদী, তা বুঝতেই পারছিলেন না অ্যাম্বুল্যান্স চালক৷
এই পরিস্থিতিতে অ্যাম্বুল্যান্স চালক ভেঙ্কটেশ নামে বছর বারোর এক কিশোরের কাছ থেকে সাহায্য চান৷ ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রটি নদীর তীরে খেলছিল৷ খেলা ছেড়ে জলে ডোবা রাস্তা দিয়ে ছুটতে শুরু করে সে৷ অ্যাম্বুল্যান্স চালক কিশোরকে অনুসরণ করেন৷ এভাবে রাস্তা দেখিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সটিকে হাসপাতালে পৌঁছে দেয় সে৷ গোটা ঘটনাটি মোবাইলবন্দি করেছিলেন কয়েকজন।পরে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। প্লাবিত কর্ণাটকের সেই কিশোরই এখন ‘সুপার হিরো’৷ সকলের মুখে-মুখে ঘুরছে ভেঙ্কটেশের নাম৷
দেশজুড়ে শিশু-কিশোরদের সাহসিকতার জন্য পুরস্কার দেয় ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ চাইল্ড ওয়েলফেয়ার। রাজ্য সরকার তাদের মনোনীত করে। পুরস্কার প্রাপকদের পড়াশোনার আর্থিক দায়ভার বহন করে সরকার। ২০১৯-২০২০ সালের জন্য মোট ১০ জন কিশোরী ও ১২ জন কিশোর এই পুরস্কার পাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.