ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট যে কতরকম ভেলকি দেখাতে পারে, তার অজস্র উদাহরণ রয়েছে দেশে। এবার তেমনই এক অদ্ভূত ঘটনার সাক্ষী রইল কর্ণাটক। দক্ষিণের এই রাজ্যের উপকূলীয় অঞ্চল বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। অথচ দেখা গেল, স্থানীয় নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী একটিও ভোট পাননি! বুধবার কাডাবা টাউন পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানেই এই ফলাফল।
কাডাবা টাউন পঞ্চায়েতের এক নম্বর ওয়ার্ড (কালারা) মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন। এই ওয়ার্ডে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিজেপির প্রার্থী প্রেমা একটিও ভোট পাননি। ওই ওয়ার্ডে মোট ৪১৮ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে একটি ভোটও বিজেপির ঝুলিতে নেই। কংগ্রেস প্রার্থী থামান্না জাবীন এই আসনে জয়ী হন। তিনি ২০১ ভোট পান। নির্দল প্রার্থী জয়নাবি আদমকে ৬২ ভোটে হারান কংগ্রেস প্রার্থী। এসডিপিআই প্রার্থী ৭৪ ভোট পান। এক নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার ছিলেন না প্রেমা। তিনি ছয় নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সেই আসনেও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু সেখানকার ফলাফলও প্রেমার জন্য খুব সন্তোষজনক নয়। তিনি ১৭৭ ভোট পেয়েছেন। কংগ্রেসের নীলাবতী শিবরাম এম.এস. পেয়েছেন ৩১৪ ভোট।
বিজেপি নেতারা এই অস্বস্তির হাত থেকে রক্ষা পেতে মুসলিম ভোটের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। বিজেপির দাবি, এক নম্বর ওয়ার্ড মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা। এই জনবিন্যাসের কারণেই ভোট পাননি বিজেপি প্রার্থী। দক্ষিণ কন্নড় বিজেপির সভাপতি সতীশ কুমাপা বলেন, মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরে নির্দল প্রার্থী জয়নাবি আদমকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় মণ্ডল ইউনিট। কুমাপা বলেন, মণ্ডল ইউনিটের দাবি ছিল, তারা ওই ওয়ার্ডে দলের জয়ের আশা করেননি, তাই অন্য প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন। তবে, কংগ্রেস এই ঘটনাকে দ্রুত কাজে লাগায়। জেলা কংগ্রেস কমিটির সভাপতি কে হরিশ কুমার উল্লেখ করেন যে প্রেমার বুথ সভাপতি এবং মনোনয়নের সময় তাঁর দুই প্রস্তাবকও সম্ভবত প্রেমার পক্ষে ভোট দেননি। নাহলে তিনি অন্তত তিনটি ভোট পেতেন।
গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে টাউন পঞ্চায়েত হওয়ার পরে এটাই ছিল প্রথম নির্বাচন। সেই নির্বাচনে কংগ্রেস ১৩টির মধ্যে আট আসনে জয় পেয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি মাত্র পাঁচ আসনে জয় পায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.