সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নয়ের দশকে কাশ্মীরী পণ্ডিতদের গণহত্যার বিচারে প্রায় ৩৫ বছর পর সক্রিয় হল জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ SIA। স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি সরলা ভাট নামের কাশ্মীরের এক নার্সকে খুন ও ধর্ষণ মামলায় উপত্যকাজুড়ে তল্লাশি শুরু করল। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জম্মু ও কাশ্মীর লিবারেশনের বহু ঠিকানায় হানা দিয়েছে SIA।
সূত্রের দাবি, স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির আধিকারিকরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেকেএলএফের প্রাক্তন নেতাদের ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়েছে। যেসব নেতাদের ঠিকানায় হানা দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে পীর নুরুল হক শাহ। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হুরিয়ত কনফারেন্সের নেতা ইয়াসিন মালিকের বাড়িও।
কাশ্মীরি পণ্ডিত, কাশ্মীরের আদি হিন্দু ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়। যাঁদের ইতিহাস অন্তত ২৫০০ বছরের পুরনো। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের মূল কাজ ছিল জ্ঞানচর্চা, ধর্মীয় আচার পালন, প্রশাসনিক দায়িত্ব এবং সামাজিক কাজে নেতৃত্ব দেওয়া। নয়ের দশকে জঙ্গি হিংসার শিকার হয়ে কাশ্মীর উপত্যকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন কাশ্মীরি পণ্ডিতেরা। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা নির্বাসনে কাটিয়েছেন। সে সময় বেছে বেছে কাশ্মীরী পণ্ডিতদের উপর নির্যাতন চালায় মুসলিম জঙ্গিরা। সেসময় নৃশংস নির্যাতনের শিকার হন সরলা ভাট নামের ওই নার্স।
সরলা ভাট শ্রীনগরের শের-এ-কাশ্মীর মেডিক্যাল সায়েন্সে কর্মরত ছিলেন। শ্রীনগরের কাছেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। গোটা শরীর কার্যত ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছিল। তাঁকে নৃশংস অত্যাচার ও গণধর্ষণ করে মেরে ফেলে দেওয়া হয়। সেই নৃশংসতায় কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ। ৩৫ বছর পর সেই মামলার তদন্তে সক্রিয় কাশ্মীর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.