প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হঠাৎ থানায় হাজির এক যুবক। রবিবার মাঝরাতে একটি ব্যাগ পুলিশের হাতে দিয়ে বললেন, ‘এতে আমার সন্তানের হাড় আছে।’ যুবকের মুখে এমন কথা শুনে হতবাক হয়ে যান উপস্থিত পুলিশ আধিকারিকরা। ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই জানা যায় আসল ঘটনা। এরপরই যুবক ও তাঁর সহবাস সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু কারনটা কী?
জানা যায়, জন্মের পরই দুই সন্তানকে মাটিতে পুঁতে দিয়েছিলেন ওই যুবক ও তাঁর সঙ্গী। এরপরেই যুবক ও তাঁর সঙ্গিনীকে গ্রেপ্তার করে কেরলের পুথুক্কাদ থানার পুলিশ। ধৃত দু’জনের নাম বাভিন ও আনিশা। পুলিশ জানিয়েছে, ২৫ বছরের বাভিন ও ২৩ বছরের আনিশা ২০২০ সাল থেকে লিভ-ইনে রয়েছেন।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা জানিয়েছেন, ২০২১ সালে প্রথমবার সন্তান প্রসব করেন আনিশা। অবিবাহিত ওই যুগলের দাবি জন্ম হবার পরই মৃত্যু হয় সদ্যজাতোর। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, সন্তান প্রসবের সময় বাড়িতে একাই ছিলেন আনিশা। সমস্যা এড়াতে ওই সন্তানকে কবর দিয়ে দেন তিনি। এই ঘটনার আট মাস পরে কবর থেকে হাড় তুলে বাভিনের হাতে তুলে দেন আনিশা। এরপর সেই হাড় রেখে দিয়েছিলেন বাভিন। এরই মধ্যে ২০২৪ সালে দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দেন আনিশা।
যুগলের দাবি জন্মানোর পর থেকেই কান্নাকাটি শুরু করে শিশুটি। প্রতিবেশীরা যাতে জানতে না পারে সেজন্য শিশুটির মুখ চেপে ধরতেই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তার। এরপরেই দ্বিতীয় শিশুটিকেও কবর দিয়ে দেন ওই যুগল। কিন্তু হঠাৎ করে কেন দুই সন্তানের দেহাবশেষ নিয়ে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করলেন আনিশা এবং বাভিন, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট ধারনা পাননি তদন্তকারী আদিকারিকরা।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথনিক জিজ্ঞাসাবাদে বাভিন জানিয়েছেন, দুই সন্তানের শেশকৃত্য করার জন্য হাড়গুলি রেখে দিয়েছিলেন তিনি। তবে কেন সেগুলি নিয়ে থানায় এলেন সেবিষয়ে কিছু বলতে চাননি। এদিকে দেহাবশেষগুলি পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.