Advertisement
Advertisement

কপালে কেন চন্দনের টিপ? ছাত্রীকে বহিষ্কার করল মাদ্রাসা

সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব ছাত্রীর বাবা৷

Kerala: Madrasa expels student for wearing bindi
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 7, 2018 1:30 pm
  • Updated:July 9, 2018 12:59 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কপালে চন্দনের টিপ পরে মাদ্রাসায় গিয়েছিল দশ বছরের মেয়েটি। আর সেই কারণেই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের চরম রোষের মুখে পড়তে হল তাকে৷ শেষমেশ মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করা হল পঞ্চম শ্রেণীর ওই মেধাবী ছাত্রীকে৷ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ মেয়েটির বাবা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন তিনি৷ যা নিয়ে তৈরি হয়েছে চরম বিতর্ক৷

Advertisement

[টানা ৭ মাস ধরে ছাত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত প্রিন্সিপাল-সহ ৩ শিক্ষক ও ১৫ ছাত্র]


ঘটনাটি ঘটেছে, উত্তর কেরলের একটি মাদ্রাসায়৷ জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতোই স্কুলে গিয়েছিল ওই ছাত্রী৷ তবে তার কপালে ছিল একটি চন্দনের টিপ৷ আগের দিন একটি নাটকে অভিনয় করার জন্য যেটি সে পরেছিল৷ পরে আর সেটা তোলা হয়নি৷ কপালে সেই চন্দনের টিপ পরেই ক্লাস করতে শুরু করেছিল পড়ুয়া৷ অভিযোগ, তা নজরে আসতেই কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ৷ ডেকে পাঠানো হয় অভিভাবককে৷ তারপরই শাস্তি হিসেবে নেওয়া হয় চরমতম সিদ্ধান্ত৷ ওই মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করা হয় ছাত্রীটিকে৷

[তৃণমূল নাকি বাম কারা যোগ্য জোটসঙ্গী? প্রদেশ নেতাদের মন পড়লেন রাহুল]

সম্পূর্ণ ঘটনা নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে তুলে ধরেন মেয়েটির বাবা উমর মালায়িল৷ মালয়ালম ভাষায় তিনি লেখেন, তাঁর মেয়ে পড়াশোনা ছাড়াও, নাটক-গান-নাচে অত্যন্ত পারদর্শী এবং অনেক পুরস্কারও এনেছে সে৷ কিন্তু শুধুমাত্র চন্দনের টিপ পরার জন্য মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাকে৷ আর এই পোস্টের পরই শুরু হয় চরম বিতর্ক৷ ওই মাদ্রাসার বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ উগড়ে দিতে শুরু করেন নেটিজেনরা৷ অনেকেই প্রশ্ন করেন, মেয়েটি তো সামান্য চন্দনের টিপ পরেছিল। তাতে এমন কী অপরাধ করে ফেলল সে? যার জন্য পেতে হল এই চরম শাস্তি? তবে একটা ক্ষুদ্র অংশ ওই অভিযুক্ত মাদ্রাসারই পাশে দাঁড়িয়েছে৷ তাদের বক্তব্য, শরিয়ত আইন অনুযায়ী ইসলাম ধর্মে চন্দন ব্যবহারের অধিকার নেই৷ ফলে মেয়েটি ও তার পরিবার বড় অপরাধ করেছে বলে ওই অংশের মত৷

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস