লালকৃষ্ণ আডবানী: প্রণবজি (Pranab Mukherjee) আমার চেয়ে বয়সে ছোট ছিলেন, কিন্তু আমার আগে তিনিই চলে গেলেন। দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। আমরা দু’জনেই রাজ্যসভার সদস্য ছিলাম একই সঙ্গে। দু’জনের মধ্যেরাজনৈতিক মতপার্থক্য ছিল, কিন্তু কখনও ব্যক্তিগত সম্পর্কে তার কোনও প্রভাব পড়েনি।
প্রণব যখন শাসকদলে, তখন আমি বিরোধী নেতা। আবার আমি যখন সরকারে, তখন প্রণব বিরোধী-নেতা হয়েছেন। ফলে সরকার পরিচালনা ও শাসনের প্রশ্নে আমাদের দু’জনের মধ্যে সবসময়ই চিন্তাভাবনার আদান-প্রদান ছিল। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরও একাধিকবার রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়েছি ওঁর আমন্ত্রণে। এমনকী, আমি ফিল্ম দেখতে ভালবাসি বলে একবার তো আমাকে রাষ্ট্রপতি ভবনের অডিটোরিয়ামে সিনেমা দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানান।
ওঁর কন্যা শর্মিষ্ঠার সঙ্গেও আমার কন্যা প্রতিভার সম্পর্ক খুব ভাল। রাজ্যসভার সদস্য থাকার সময় থেকেই আমাদের দুই পরিবারের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রণবের ছিল বই পড়ার নেশা। অনেক সময় নতুন কোনও বই নিয়েও আমাদের মধ্যে আলোচনা হত। প্রণব ছিলেন জাতীয়তাবাদী। তিনি ছিলেন এক অজাতশত্রু ব্যক্তিত্ব। স্বয়ং এক প্রতিষ্ঠান। সংসদীয় গণতন্ত্রের পূজারী। প্রণববাবুর মৃত্যু দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.