সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনুপ্রবেশ ইস্যুতে দিনরাত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান বিজেপি নেতারা। খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও রাজ্যে এসে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে কাঠগড়ায় তুলে গিয়েছেন রাজ্য সরকারকে। অথচ পরিসংখ্যান বলছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দীর্ঘ এলাকা এখনও অরক্ষিত। শাহেরই অধীনে থাকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দীর্ঘ এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দিতে পারেনি। যদিও সেটার জন্যও অনেকাংশে রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দীর্ঘ এলাকা এখনও অরক্ষিত। কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি। এক প্রশ্নের জবাবে সংসদে স্বীকার করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অমিত শাহর মন্ত্রক জানাল, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায় ৫৬৯ কিলোমিটার এখনও অরক্ষিত। কেন্দ্র জানিয়েছে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০৯৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে শুধু বাংলার সীমান্ত ২২১৬ কিলোমিটার, মেঘালয় সীমান্ত ৪৪৩ কিলোমিটার, অসম সীমান্ত ২৬৩ কিলোমিটার, ত্রিপুরা সীমান্ত ৮৫৬ কিলোমিটার এবং মিজোরামের সীমান্ত ৩১৮ কিলোমিটার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, এর মধ্যে ১৭৪ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার লাগানো সম্ভবই নয়। ওই এলাকা হয় বনভূমি যুক্ত, ধসপ্রবণ এবং দুর্গম।
এর মধ্যে বাংলার সীমান্তে ২২১৬ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ১ হাজার ৬৪৮ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া দেওয়া হয়েছে। ৫৬৯ কিলোমিটার এখনও অরক্ষিত। এর মধ্যে ৪৫৬ কিলোমিটার এলাকা কাটাতার লাগানোর যোগ্য। এর মধ্যে ১৪৯ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া শুরুই হয়নি। বাকি ৩৭৮ কিলোমিটারের মধ্যে ১৪৮ কিলোমিটার এলাকায় রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করেনি বলে দাবি করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বাকি ২২৯.৩১৮ কিলোমিটার কাঁটাতার দেওয়ার কাজ নানা জটে আটকে আছে। স্বাভাবিকভাবেই ওই বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বেড়া দেওয়া নিয়ে দায় এড়াতে পারে না কেন্দ্র।
কোন রাজ্যে বাংলাদেশ সীমান্তের দৈর্ঘ্য কতটা? বাংলাদেশ সীমান্তের কতটা এখনও অরক্ষিত? ওই অরক্ষিত এলাকায় কাঁটাতার লাগানো যায়নি কেন? আসলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। এ হেন গুরুত্বপূর্ণ কাজে গড়িমসি কেন?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.