সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিটি আইনজীবী এবং বিচারকদের মধ্যে বৈচিত্র্য আছে। ন্যায়বিচার দেওয়ার ক্ষেত্রে সেই বৈচিত্র্যকে ব্যবহার করতে হবে। এই বৈচিত্র্যকেই আইনের মূল ভিত্তি হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে, দুর্বলদের রক্ষা করাই হল আইনের প্রধান কাজ। শনিবার ভিয়েতনামের হ্যানয়তে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনটাই বললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই।
তিনি আরও বলেন, “আমি নিম্নবর্গের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে আমি অস্পৃশ্য। কারণ, সংবিধান অন্যান্য সকল নাগরিকের মতো আমার মর্যাদাকেও সমান বলে স্বীকৃতি দিয়েছে।” গৌতম বুদ্ধ, মহাত্মা গান্ধী এবং ডঃ বিআর আম্বেদকরের আদর্শে অনুপ্রাণিত প্রধান বিচারপতি বলেন, “এই বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের আদর্শ আইন সম্পর্কে আমার ধারণা বদলে দিয়েছে। আইনের মূল উদ্দেশ্য হল সামাজিক শ্রেণিবিন্যাস ভেঙে ফেলা এবং প্রান্তিকদের ক্ষমতায়ন করা।” তিনি আরও বলেন, “আইন যখন কোনও ব্যক্তির মর্যাদা রক্ষা, তখন সেটা তাঁর জীবনের গতিপথ পরিবর্তন করে দিতে পারে। সাংবিধানিক মূল্যবোধ কেবল আদালত কক্ষেই নয়, বরং অফিস এবং প্রতিষ্ঠানগুলিতেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।”
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ভরা এজলাসে প্রধান বিচারপতিকে লক্ষ্য করে জুতো ছোড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। ঘটনায় নাম জড়ায় আইনজীবী রাকেশে প্রধানের। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আদালত কক্ষ থেকে বের করে আনার সময় তিনি চিৎকার করে বলতে থাকেন, “ভারতে সনাতন ধর্মের অপমান সহ্য করা হবে না।” জানা যাচ্ছে, সপ্তাহ খানেক আগে প্রধান বিচারপতির এজলাসে মধ্যপ্রদেশের একটি ক্ষতিগ্রস্ত বিষ্ণু মূর্তি পুনরুদ্ধারের মামলা শুনানি ছিল। সেই সময় একটি প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, “যাও, দেবতাকে জিজ্ঞাসা করো” অনুমান করা হচ্ছে অভিযুক্তের মন্তব্যের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বিচারপতি গাভাইকে লক্ষ্য করে জুতো ছোড়া এবং ‘সনাতনের অপমান’ সম্পর্কিত মন্তব্যের। যদিও বিতর্কিত মন্তব্য সম্পর্কে আগেই জবাব দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি গাভাই। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। তিনি সব ধর্মকে সম্মান করেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.