প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপিশাসিত মধ্যপ্রদেশে এবার তোলা না পেয়ে খোদ পুলিশ পিটিয়ে মারল এক ইঞ্জিনিয়ারকে। দাবি ছিল ১০ হাজার টাকা। সেই টাকা দিতে না পারায় পার্টিতে ঢুকে ওই যুবককে বিবস্ত্র করে মারধর করে পুলিশ। বন্ধুরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে এইমসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসার সময় মৃত্যু হয় তাঁর।
মৃত যুবকের নাম উদিত গায়াকি। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে ইন্দ্রপুরী এলাকায়। উদিতের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা। দুই পুলিশকর্মীর গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব হয়েছেন অনেকেই। উদিতের পরিবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি একটি সংস্থায় চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন উদিত। ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি শেষ করার পর চাকরি পেয়ে উদিত ভোপালে ফিরে আসেন। বৃহস্পতিবার তিনি বন্ধুদের সঙ্গে সেহোরে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে গিয়েছিলেন তাঁর সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে। নতুন চাকরির জন্য বন্ধুরা আবদার করায় বৃহস্পতিবার পার্টির আয়োজন করেছিলেন ওই যুবক।
সন্ধ্যায় পার্টির আনন্দে যখন সবাই মেতে, সেই সময় পুলিশের দুই কনস্টেবল সেখানে আসেন। অভিযোগ, ১০ হাজার টাকা দাবি করেন দুই কনস্টেবল। তা নিয়েই বচসার সূত্রপাত। টাকা দিতে অস্বীকার করায় পুলিশকর্মীরা লাঠি নিয়ে হামলা চালান। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, উদিত প্রতিবাদ করায় তাঁর পোশাক ছিড়ে দেওয়া হয়। তার পর লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন দুই পুলিশকর্মী। সেই আঘাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।
গোটা ঘটনায় বিজেপি সরকারকে তোপ দেগেছে বিরোধীরা। মধ্যপ্রদেশ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জিতু পাটওয়ারি বলেন, “দুই পুলিশকর্মী এক যুবককে খুন করল। তার পরেও প্রশাসনের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এমনকি যুবকের পরিবারের সঙ্গে প্রশাসনের তরফে কেউ দেখা করেননি। বিজেপি সরকারের শাসনকালে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবস্থা তলানিতে ঠেকেছে। ভোপালের ঘটনা আবার তা প্রমাণ করে দিল।” সূত্রের খবর, বালাঘাটের ডিএসপি কেতন আদলকের শ্যালক ছিলেন উদিত। ঘটনার পরেই অভিযুক্ত কনস্টেবল সন্তোষ বামানিয়া এবং সৌরভ আর্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.