Advertisement
Advertisement
Madhya Pradesh

ব্রাহ্মণদের অপমান! পা ধোয়া জল খেতে বাধ্য করা হল দলিত যুবককে, বিতর্ক মধ্যপ্রদেশে

এই ঘটনার 'রাজনীতিকরণ' করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দু'জনেই।

Madhya Pradesh OBC man forced to wash feet of bramhin and drink water
Published by: Anustup Roy Barman
  • Posted:October 12, 2025 3:57 pm
  • Updated:October 12, 2025 3:57 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে মধ্যপ্রদেশের দামোহ জেলা। জাতিগত বৈষম্যের ঘটনায় তোলপাড় মধ্যপ্রদেশ। অভিযোগ, এক ব্রাহ্মণের পা ধুইয়ে সেই জল খেতে বাধ্য করা হয়েছে ওবিসি সম্প্রদায়ের যুবককে। এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল সমাজ মাধ্যমে। এরপরেই এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও দু’পক্ষই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয়। তাঁরা এই ঘটনার ‘রাজনীতিকরণ’ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।

Advertisement

কুশওয়াহা সম্প্রদায়ের একজন সদস্য পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগও করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সাতারিয়া গ্রামে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু সেই নিয়ম ভেঙে, জনতার রোষের মুখে পড়েন ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের অন্নু পান্ডে। গ্রামের মানুষ তাঁকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন এবং পাশাপাশি তাঁকে ২ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

এরপরেই শুরু হয় সমস্যা। অভিযোগ করা হয়েছে, ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত পারশোত্তম এআই ব্যবহার করে একটি ভিডিও তৈরি করে। সেই ভিডিওতে অন্নুর গলায় জুতার মালা দেখা যায়। সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে যায় এই ভিডিও। পারশোত্তমের দাবি, তিনি কয়েক মিনিটের মধ্যেই পোস্টটি মুছে ফেলেন এবং ক্ষমা চান।

এরপরেই গ্রামের ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের মানুষ একজোট হয়ে পারশোত্তমের শাস্তির দাবি তোলেন। তাঁদের দাবি, ওবিসি সম্প্রদায়ের পারশোত্তম শুধু অন্নুর পান্ডে নয় ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের অপমান করেছেন। ‘দোষের প্রায়শ্চিত্ত’ হিসেবে অন্নু পান্ডের পা ধুয়ে সেই জল খেতে বাধ্য করা হয় পারশোত্তমেরকে। গ্রামের সব বাসিন্দার সামনে এই কাজ করতে বাধ্য করা হয় তাঁকে। পাশপাশি, পারশোত্তমকে ৫ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়।

যদিও, এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন পারশোত্তম নিজেই। তিনি জানিয়েছে, “আমার ভুল হয়েছে, আমি ক্ষমা চেয়েছি। অন্নু পান্ডে আমার পরিবারের গুরু। এই ঘটনাকে রাজনৈতিক রঙ দেবেন না।” অন্নু পান্ডে জানিয়েছেন, এই সমস্যা ‘পারস্পরিক সম্মতিতে’ সমাধান করা হয়েছে। তাঁর দাবি, “কিছু মানুষ এই ঘটনাকে রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমাদের মধ্যে গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক। আমি তাঁকে অপমান করিনি। তিনি নিজেই এই কাজ করেছেন।” দু’জনের চেষ্টা সত্ত্বেও পুলিশ এই ঘটনায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ