Advertisement
Advertisement

কোকাকোলা-পেপসিকে নদীর জল ব্যবহারের অনুমতি দিল হাই কোর্ট

কিছুটা হলেও স্বস্তি পেল পেপসি এবং কোকাকোলা।

Madras HC allows Coke, Pepsi to use Thamirabarani river water
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 2, 2017 10:28 am
  • Updated:March 2, 2017 10:28 am   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাদ্রাজ হাই কোর্টের মাদুরাই বেঞ্চের রায়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেল পেপসি এবং কোকাকোলা দুই নরম পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থা। বৃহস্পতিবার আদালত নিজের রায়ে জানিয়েছে, থামিরাবারানি নদীর জল এই দু’টি সংস্থাকেও দিতে হবে। পাশাপাশি খারিজ করে দিয়েছে এই নদীর জল ব্যবহার করতে না দেওয়ার জন্য দায়ের হওয়া দু’টি জনস্বার্থ মামলাও। এর আগে গত বছর নভেম্বরে পেপসি এবং কোকাকোলা এই দুই সংস্থার থামিরাবারানি নদীর জল ব্যবহারের ওপর অন্তর্বতী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তবে এদিনের নির্দেশের পর উঠে গেল সেই নিষেধাজ্ঞা।

Advertisement

এবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সুরক্ষিত রাখবে ‘দ্য বিস্ট’

তিরুনভেলি জেলা গ্রাহক সুরক্ষা সংস্থার সচিব ডিএ প্রভাকর কোক-পেপসির মতো নরম পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থা যাতে থামিরাবারানি নদীর জল ব্যবহার করতে না পারে, সেজন্য আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিল। তিনি দাবি করেছিলেন থামিরাবারানি নদীর জলের ওপর তুতিকোরিন, তিরুনেলভেলি, রামানাথাপুরম এবং বিরুধুনগর জেলায় প্রায় ২০টি পানীয় জলের প্রকল্প নির্ভর করে। এছাড়া গত ফেব্রুয়ারি মাসে মামলার শুনানিতে তাঁর পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, চাষবাস তিরুনেলভেলির মানুষের আয়ের একমাত্র উৎস। এই ধরনের সংস্থাগুলিকে নদীর জল দিয়ে দেওয়ায় সাধারণ মানুষের জীবনযাপন ব্যাহত হয়েছে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের রায়কেও তুলে ধরা হয়েছিল। কারণ দেশের শীর্ষ আদালত একটি মামলার রায়ে জানিয়েছিল, বাণিজ্যিক কারণে কখনই জল নেওয়া যাবে না।

নতুন গ্রহের নাম রাখতে সাধারণ মানুষের কাছে আর্জি নাসার

যদিও পেপসি এবং কোক দুই সংস্থার তরফে বলা হয়েছিল, অন্যান্য সংস্থাও ওই নদীর জল ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু কেবল তাদের বিরুদ্ধেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও ওই মামলার বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল, থামিরাবারানি নদীতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল রয়েছে।

‘দেশদ্রোহীদের’ বিরুদ্ধে চার্জশিটের দাবিতে আন্দোলনে এবিভিপি

এদিকে, বুধবার থেকেই রাজ্যে কোকাকোলা ও পেপসি বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তামিলনাড়ুর দু’টি বড় বিপণি সংগঠন৷ তার বদলে স্থানীয় পানীয় বিক্রির উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছিল তামিলনাড়ু ট্রেডার্স ফেডারেশন (TNLF) ও কনসোর্টিয়াম অফ তামিলনাড়ু ট্রেডার্স৷ বিক্রেতাদের কালি মার্ক, বোভোন্টো ও টোরিনোর মতো স্থানীয় নরম পানীয় বিক্রি করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল৷ ভারতীয় বাজারে বিদেশি এই পন্যগুলির রমরমা রুখতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে৷ তামিলনাড়ু বাণীগড় সঙ্গাঙ্গলিন পেরামায়াপ্পুর (TNVSP) প্রেসিডেন্ট বিক্রম রাজা বলেছিলেন, জাল্লিকাট্টু আন্দোলনের পর থেকেই এই বিদেশি পানীয়গুলির উপর থেকে বিরুদ্ধ মনোভাব তৈরি হয়েছে তামিল জনগণের৷ এছাড়া অন্যান্য সংগঠনের দাবি, বিদেশি পানীয়র রমরমার জেরে মার খাচ্ছে দেশীয় পানীয়গুলি৷ এর জেরে জলসঙ্কটও দেখা দিচ্ছে রাজ্যে৷ সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷

বেসরকারি হাসপাতালের অনিয়ম রুখতে এবার বিল আনছে রাজ্য

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস